পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stro হিমালয় । যণা ও প্রচুর চিন্তার পর শেষে তিনি এই স্থির কোল্লেন যে, সেখানে বেণীপ্ৰসাদ আছে এবং রামনাথের খুড়ী আছেন, কেননা “চাচী” শব্দের অর্থ খুড়ী ছাড়া আর কিছু হোতেই পারে না ; কাজেই “রামনাথক চাচী” এক সম্পূর্ণ পৃথক ব্যক্তি। তবে স্ত্রীলোকের নাম ধোরে আড়া খুঁজতে হবে, এই যা মনের মধ্যে একটা খটকা লেগে রইল। বৈদান্তিক বোলে বসলেন জায়গায় জায়গায় আমনতর দুই একটা স্ত্রীলোক থাকে, পুরুষের চেয়ে তাদের খ্যাতি অনেক জেয়াদ। বলা বাহুল্য স্বয়ং লছমীনারায়ণ আমাদের সঙ্গে আসতে পারে নি, কারণ সে আরও কয়দিন দেবপ্রয়াগো না থাকুলে অনেক নূতন যাত্রী তার বেদখল হোয়ে যাবে ; তার এই ৬% ছিল ; তবে সে আমাদের ভরসা দিয়েছিল যে, শীঘ্রই আমাদের সঙ্গে এ স মিশবে। যা হোক বন্দরীনাথে এসে সেই “রামনাথ কী চাচাের” অনুসন্ধানে বেশী নিগ্ৰহ ভোগ কোর্তে হয় নি। সকলে পাণ্ডাই তীর্থের কাকের মত রাস্তায় বোসে থাকে, যখন তারা শুনলে যে আমরা লছমীনারায়ণের লোক, তখন তাদের মধ্যে একজন এসে নিজেকে বেণী প্ৰসাদ বোলে পরিচয় দিলে । বেণী প্ৰসাদের আকার প্রকার কি রকম ম’ ! আমার! কেহই জানতুম না, সুতরাং কলিকাতা, কালীঘাট, কি ঐ ক্লার কোন স্থান হোলে স্বতঃই সন্দেহ হোতে যে, হয় তা বা একটা জাল বেণী প্ৰসাদ এসে আমাদের স্কন্ধে ভবন কোরেছে এবং গে! লাগযোগে র মধ্যে যখন আসল বেণীপ্ৰসাদটা বেরিয়ে পোড়বে, তখন আমাদের এক বিষম মুস্কিলে পোড়তে হবে । কিন্তু বদবিনাথের মত স্থানের এখনও ততটা অধঃপতন হয় নি । সুতরাং এই লোকটা বেণী প্ৰসাদ বোলে পরিচয় দেবামাত্র আমরা: অসঙ্কোচে তার সঙ্গে চোলাতে লাগলুম। কিন্তু বেণীপ্রসাদ বেচারীও আমাদের নিয়ে মহাবিপদে পোড়লো । তাদের ঘরবাড়ী এখনও বরফে ঢাকা, আরও পনের ষোল দিন না গেলে তারা বরফস্তাপের মধ্য হোেত প্ৰকাশ হচ্ছে না। বেণীপ্রসাদ নিজে