পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y byr yr श्मिांव्लश , সব যোগী ঋষি আছেন, যারা যোগবলে ভস্মকে কাঞ্চন এবং বিষকে অমৃত কোরুতে পারেন। কিন্তু দুরদৃষ্টবশতঃ এ পর্য্যন্ত বিষের জ্বালা অনেক সহ কোল্লাম বটে, কিন্তু অমৃতের আস্বাদন ত বড় একটা হোলো না ; তা হোলে বোধ করি আবার এ সংসারের কৰ্ম্মভোগের মধ্যে এসে পোড়তে হোতে না । তবে এটুকুও বলা যেতে পারে যে, অমৃতের আস্বাদন না পাই, এমন এক আধা জন সন্ন্যাসী দেখা গিয়েছে বটে, যারা সচ্চিদানন্দের করুণামুত-ধারা পান কোরে জীবনকে কৃতাৰ্থ কোরেছেন ; কিন্তু তাদের কোন কথা জিজ্ঞাসা করা ঘটে নি, তাদের স্বৰ্গীয় জ্যোতির সম্মুখে উপস্থিত হোলে সাংসারিক আসক্তি-পূর্ণ বাসনা ও চিন্তা ভস্মীভূত হোয়ে যায়। কিন্তু আমাদের পাপহৃদয়ে যে আশ্বাস বাণীর ঘোষণা হয় আমরা তার উপযুক্ত নই, সুতরাং দু’দিনের মধ্যে সে কুহক ও অন্তহিত হোয়ে যায়। তখন বাস্তবিকই একটা অনন্ত যাতনায় প্ৰাণ ত্যাকুল হোয়ে উঠে, এবং কাতর হৃদয় বিদীর্ণ কোরেই স্বতই ধ্বনিত হয় - “যাহা পাই তাই ঘরে নিয়ে যাই, আপনার মন ভুলাতে, শেষে দেখি চায়! ভেঙ্গে সব যায়, ধূলা হােয়ে যায় ধূল ত । সুখের আশায় মারি পিপাসায়, ডুবে মারি দুঃখ পাথা , । রবি শশি তারা কোথা হয়। হারা, দেখিতে না পাই তোমারে।” রাত্রে শুয়ে হি হি কোরে কঁাপিতে কঁাপিতে কত কথাই ভাবতে লাগলুম। বৈদান্তিকের সুখ-নিদ্রাটা আমার কাছে নিতান্ত চক্ষুশূল বোলে বোধ হোচ্ছিল । বিশেষ যতক্ষণ ঘুম না আসে, চুপ কোরে পোড়ে আকাশ পাতাল চিন্তা করার চেয়ে ততক্ষণ কথা কহাতে বোধ করি একটু বেশী আরাম আছে; কিছু না হােক কথাবাৰ্ত্তায় শীতের প্রকোপটা অনেক কম বিবেচনা হয়। অতএব বৈদাস্তিকের ক্লাস্তিহর নিদ্রাট কু বিনষ্ট কোর্তে মনে কিছুমাত্র দ্বিধা উপস্থিত হোলো না । কঁচা ঘুম ভাঙ্গাতে বৈদান্তিক বোধ করি আমার প্রতি কিঞ্চিৎ উন্মাযুক্ত হােয়ে