পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* R o 3 হিমাল* থাকে, তার পর বলে “ইস তরফ কৈ যায়গা পক %, মালুম নেই,” সুতরাং অন্য লোকের কাছে পথের সন্ধান জানার আশায় নিরাশ মেয়ে তোমরা নিৰ্ব্বাকভাবে এবং কতকটা সন্দিগ্ধচিত্তে অলকানন্দার ধারে ধীরে চোলাতে লাগলুম ; আগে পাছে সেই উন্নত পৰ্ব্বতশ্রেণী তুষারাচ্ছন্ন, বন্ধুত্ব তরুতৃণহীন পৰ্ব্বতের অন্ত নেই ; মা ; শুধু সঙ্কীর্ণ বঙ্কিম অধিত্যক। ভেদ কোরে অলকানন্দ অফুর্ট শব্দে ছুটে চলেছে এবং তার কম্পিত জল বরফের স্তুপ আবার দৃশ্যমান হেয়ে পোড়লে অলকানন্দার জলধার অদৃশ্য হোয়ে এলো, অবশেষে বরফের নদী ভিন্ন । কিছুই দেখা গোল না। কঠিন জমাট বরফ রাশিতে নদীগর্ভ সম্পূর্ণ অ’ । অনেকক্ষণ চলার পর আমরা তুষারাচ্ছন্ন নদীতীয় সে দাঁড়ালম চারিদিকে সুধু বরফ, ধুধু কোরছে। নিম্নে উদ্ধে যে চাই কেবল বরফ ; পথের চিহ্ন নেই, নদীর চিহ্ন নেই, গন্তব্য-স্থান বে কে ঠিক নেই। এমন কি দিগ নির্ণয়ের পয্যন্ত উপায় নেই। আমরা দি নেই দিগভ্ৰান্ত হোয়ে বরফ-নদীর তীরে দাড়িয়ে ভাবতে লাগলুম। যে দিক থেকে আমরা এসেছি, স দিক ঠিক আছে-এখনও ফিরে যেতে পারি। অ্যান দিষ্ট বিপদের মধ্যে প্রবেশ করবার পূর্কে আর একবার ভেবে দেখলুম। তারপর ভগবানের নাম স্মরণ কোরে নদী পার হওয়াই স্থির কোলাম । ব্যাসগুহা যে কোথায়, তা এখন পৰ্য্যন্তও স্থির হয় নি। স্বামীজি বিশ্বাস আমাদের সম্মুখের পর্বতের গায়েই নিশ্চয়ই ব্যাসগুহা দেখতে পাও? যাবে। স্বামীজির অনুমানের উপর নির্ভর কোরেই আমরা নদীপার হো.ে প্ৰবৃত্ত হোলুম। এখানে নদী পার হওয়া বড়ই দুঃসাহসের কাজ। আগে বোলেছি, নদীর উপর কোন সাকো নেই, তার উপর কোন স্থানে ধর কি অবস্থায় আছে, তা নির্ণয় করা দুরূহ। আমরা যে বরফ রাশির উপ দাড়িয়ে আছি, তার নীচেই যে নদী নেই তারই বা ঠিক কি ? অতএ