পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R o হিমালয় । রণে ভঙ্গ দিলেন, আমরা মায়াবাদ, অদ্বৈতবাদ, বিবৰ্ত্তনবাদ প্রভৃতি নিয়ে এক ঘোর দার্শনিক তর্ক জুড়ে দিলুম। আমার উদ্দেশ্য অচ্যুতভায়াকে কিছু জব্দ করা, সুতরাং যত তর্ক করি না করি, ক্ৰমাগতই বলি, “আরে ভাই, তুমি যে এ সোজা কথাটা বুঝতে পােচ্ছ না, এটা যার মাথায় না। আসে তার পক্ষে তর্ক না করাই নিরাপদ।” বুদ্ধির উপর দোষারোপ কোল্লেী, অতি ভাল মানুষের ও রাগ হয়। বৈদান্তিক আরও অসহিষ্ণু হোয়ে উঠ । লেন, এবং অধিক উৎসাহের সঙ্গে নানা রকমের শ্লোক আউড়াতে লগলেন, আমি বলি, “হোল না, SumitaBot (আলাপ) হোল না, ও শ্লোকটা ঠিক এখানে খাটবে ন! !” “কোন খাটবে না।” বোলে তিনি আবার সেই সকল শ্লোকের ব্যাখ্যা আরম্ভ করেন, কোন টীকাকার কি বোলে গেছেন তা পৰ্য্যন্ত বাদ ९.2दा म 1 | ক্রমে সন্ধ্য; উপস্থিত। স্বামীজির সঙ্গে সাধু কুটীরে প্রবেশ কোল্লেন, ৩খনও আমাদের তর্ক সমান ভাবে চোলছে; স্বামীজি বৈদান্তিককে ডেকে বল্লেন “রাত্ৰি হেয়ে এল, শুধু তর্কেতে ক্ষুধা নিবৃত্তির কোন সন্তাবনা নেই, এখন তর্ক ছেড়ে আহারের বন্দোবস্তে মন দিলে হয় না কি ?” প্রবল যুদ্ধের মধ্যে সন্ধির শ্বেত নিশান দেখালে যেমন অৰ্দ্ধপথে যুদ্ধ নিবৃত্তি হয়, তেমনি স্বামীজির এই কথায় তর্কযুদ্ধ হঠাৎ থেমে গেল । পৃথিবীর অনেক তর্ক অন্নচিন্তায় নিস্পত্তি হয়ে যায়, আমাদেরও তাই হোলে। সেই সন্ধ্যাকালে দিব। রাত্রি, আলো এবং অন্ধকারের মধুর মিলনক্ষণে স্বামীজি ও আগন্তুক সাধু সংযতত্ত্বদয়ে পুরাণের শান্ত-গম্ভীর বিষয় আলোচনা কোর্তে লাগলেন ; তখন দূর মন্দিরে শঙ্খ ঘণ্টা ধ্বনিত হোচ্ছিল, দূরে সন্ন্যাসীর দল সমস্বরে ভজন আরম্ভ কোরেছিল। তাদের সেই ভজনের সুরে আমার একটি পরিচিত ভজন মনের মধ্যে জেগে৷ উঠল, আমার প্রাণের মধ্য হোতে একটা ব্যাকুল স্বর নিতান্ত কাতর ভাবে যেন গাহিতে লাগিল