পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*39jisös. ՀՎ5 Տ ধূলিধূসৰ্ব্বত শ্ৰান্ত ক্লান্ত। এদের বিবাদের কারণ শুনে আমার মনে যুগপ২ লজ্জা ও দুঃখ হােলো। এরা দুজনেই কেদারনাথ দৰ্শন কৌরতে গিয়েছিল, বড় ভৈরবীর সঙ্গে একটি সাধুপুরুষ ছিল, কনিষ্ঠ ভৈরবী পূর্বদিন অপরাস্তুে সেই সাধুটিকে ভুলিয়ে এখানে নিয়ে এসেছে। জ্যেষ্ঠ সন্ন্যাসিনী বহু পরিশ্রমে এখানে এসে তার হারানিধিকে আবিষ্কার কোরেছে, এবং সেই সাধু পুরুষের উপর অধিকার কার, এই নিয়ে দুজনে বিষম ঝগড়। আরম্ভ কোরেছে। এ বিবাদের কথাবাৰ্ত্ত সমস্ত হিন্দুস্থানীতে পুষিয়ে ওঠে নি, কাজেই হিন্দুস্থানী ছেড়ে এখন বাঙ্গলায় কথা চোলছে, সঙ্গে সঙ্গে দুজনেই হাত মুখের অতি কুৎসিত ভঙ্গী কোরচে। আমি আর সেখানে লংজায় দাড়াতে পালুম না। যে সকল দর্শক সেখানে উপস্থিত ছিল, তারা বাঙ্গলা জানে না, কাজেই তারা পরম তৃপ্ত মনে এই বীরত্ব গ’থা শুনে যাচ্ছিল। আমি সেখান হোতে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এলুম, কথায় কথায় অচ্যুত ভায়৷ এই কলঙ্ক কাহিনী শুনতে পেলেন, আমাকে জিজ্ঞাসা কল্লেন “তারা কি সত্যি সত্যিই বাঙ্গালী নাকি ? এতক্ষণ বল নি!”—এই বলে তিনি তার সুবৃহৎ পাৰ্ব্বত্য যষ্টি নিয়ে ভৈরবীদ্বয়ের “নাকাজক্ষায় চটি ত্যাগ কোল্লেন। আমি ও স্বামীজি মিলে কি তাকে * $1 কোত্ত্বে পারি? শেষে অনেক নীতিকথা ব্যয় কোরে তঁকে ফিরাই। ভর বীদ্বয় আপাততঃ রক্ষা পেলে, কিন্তু ভায়। তজ্জন কোরাতে কোরিতে বোলেন যে, একবার তাদের সঙ্গে দেখা হোলে এক লাঠির বাড়িতে তাদের ভাণ্ডামী ভেঙ্গে দেবেন। নারায়ণে যাবার সময়ে লালসাঙ্গায় এক বিনামোচোর সাধুর কীৰ্ত্তিকাহিনী বোলেছিলুম, এখন ফিরবার সময়ে দুইটি বাঙ্গালী ভৈরবীর পাশব দৃশ্য দেখা গেল। স্বামীজির ইচ্ছা ছিল যে, আজকার দিনটা লালসাঙ্গায় থাকা যাক, বৈদান্তিক ভায়ারও তাতে বড় একটা আপত্তি ছিল না ; কিন্তু না হক বোসে থাকা আমার ভাল লাগলো না ; কাজেই আমরা