পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যাবৰ্ত্তন। * ミア> দেখে তাকে সন্ন্যাসী বলেছি। তার পায়ে বেশ একজোড়া জুতা, পরিধানে গৈরিক বস্তু, গায়ে গৈরিক পিরান, একখানি কম্বল, তাকেও রং কোরে পোষাকের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছে ; হাতে একটা সেতার ; তারও পরিাত্ৰাণ নাই, তাকেও গৈরিক খোলে মোড়া হয়েছে। লোকটা বড়ই রাগান্বিত দেখে আমি তাকে ডাকতে লাগলুম ; বাঙ্গালা ভাষায় তাকে ডাকৃছি। তবুও সে রাগের ভরে চলে যায় দেখে আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে তার পথ রোধ কোরে দাড়ালুম এবং কেন সে এত চটে গিয়েছে জিজ্ঞাসা করায়, সে দোকানদারের পিতৃমাতৃ উচ্চারণ কোরে গালি দিতে লাগলো এবং রাগে গরু গৰু কোরে কতকগুলি কথা বলে ফেললে। তার সার এই যে, আজ ভোরে রওনা হয়ে ৭.৮ ক্রোশ রাস্ত। সে হেঁটে এসেছে, সঙ্গে একটি পয়সা নেই ; এখানে এসে যে দোকানো যায়। সেই দোকানদারই বিনা পয়সায় তার আহার যোগাতে "অসম্মত হয় ; বেলা আড়াই প্ৰহরের সময় বেচারীর উপর এ প্রকার অত্যাচার করায় সে কি কোরে তার মেজাজ ঠিক রাখতে পারে ; আপনারাই তার বিচার করুন। অনেক বুঝিয়ে তাকে এনে আমাদের দোকানে বসালুম এবং দোকানদারের ঘরে জল খাবার যা ছিল তা দিয়ে তার উদারদেবকে শান্ত করা গেল। সে যখন প্ৰকৃতিস্থ হোলো তখন তাকে আমি বুঝিয়ে দিলাম যে, সে যে প্রকার চটা মেজাজের লোক তাতে বিনা সম্বলে এ পথে চোলাতে পারবে না ; তার চাইতে তার পক্ষে ফিরে যাওয়া ভাল, এবং সে যদি সম্মত হয়, তা হোলে তাকে আমরা সঙ্গে নিয়ে যেতে রাজী আছি। সে তাতে সম্মত হোলো না ; যে কোরেই হোক সে নায়ায়ণ দর্শন কোরতে যাবেই। তার সদুদ্দেশ্যে বাধা দেওয়া অকৰ্ত্তব্য মনে কোরে আমি যথাসাধ্য তাকে সাহায্য কোলুম ; শেষে এক সঙ্গেই সকলে বাহির হওয়া গেল। দুৰ্ব্বাসার ছোট সংস্করণ সাধু নারায়ণের পথে গেলেন, আমরাও শ্ৰীনগরের দিকে অগ্রসর লুক্লোম। এই স্থানে একটি