পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপালকুণ্ডল স্ত পশি খরে যখন নবকুমারের নিদ্রাভঙ্গ হইল, তখন রজনী গভীরা। এখনও যে তঁহাকে ব্যান্ত্রে হত্যা করে নাই, ইহা তাহার আশ্চর্য্য বোধ হইল। ইতস্ততঃ নিরীক্ষণ করিয়া দেখিতে লাগিলেন, ব্যাস্ত্র আসিতেছে কি না। অকস্মাৎ সম্মুখে বহুদূরে একটা আলোক দেখিতে পাইলেন। পাছে ভ্রম জন্মিয়া থাকে, এজন্য নবকুমার মনোনিবেশপূর্বক তৎপ্রতি দৃষ্টি করিতে লাগিলেন। আলোক - পরিধি ক্রমে বদ্ধিতায়ন এবং উজ্জ্বলতর হইতে লাগিল-আগ্নেয় আলোক বলিয়া প্রতীতি জন্মিল; প্রতীতিমাত্র নবকুমারের জীবনাশা পুনুরুদীপ্ত হইল। মনুষ্যসমাগম ব্যতীত এ আলোকের উৎপত্তি সম্ভবে না। কেন না, এ দাবানলের সময় নহে। নবকুমার গাত্রোখান করিলেন; যথায় আলোক, সেই দিকে ধাবিত হইলেন। একবার মনে ভাবিলেন, “এ আলোক ভৌতিক।-হইতেও পারে; কিন্তু শঙ্কায় নিরস্ত থাকিলেই কোন জীবন-রক্ষা হয়?” এই ভাবিয়া নির্ভীকচিত্তে আলোক লক্ষ্য করিয়া চলিলেন। বৃক্ষ, লতা, বালুকাস্তুপ পদে পদে তাহার গতিরোধ করিতে লাগিল। বৃক্ষলতা দলিত করিয়া, বালুকাস্ত প লঙ্ঘিত করিয়া নবকুমার চলিলেন। আলোকের নিকটবর্ত্তী হইয়া দেখিলেন যে, এক অত্যুচ্চ বালুকাস্তাপের শিরোভাগে অগ্নি জ্বলিতেছে, তৎপ্রভায় শিখরাসীন মনুষ্যমূর্ত্তি আকাশপটস্থ চিত্রের ন্যায় দেখা