শ্রীগুরু-চরণ করিয়া স্মরণ
বিকাইয়া সে চরণে।
রাধাকৃষ্ণ দাস দ্বারকা-বিলাস
পয়ার প্রবন্ধে ভণে॥
রুক্মী রাগান্বিত হইয়া শ্রীকৃষ্ণের সহিত যুদ্ধ করিতে যায়।
রুক্মী বলে কে করিল সাহস দুস্কর।
কে হরিল রুক্মিণীরে কেবা সে তস্কর॥
যাইতে যমের ঘরে কে আসি ইচ্ছিল।
জ্বলন্ত অনলে আসি কেবা ঝাঁপ দিল॥
দূত বলে যুবরাজ নিবেদন করি।
জন্ম যার চৌর্য্যবৃত্তি নাম চোরা হরি॥
সেই কৃষ্ণ লম্পট কপট আগমনে।
রুক্মিণী হরিল পথে বধে সৈন্যগণে॥
কৃষ্ণনাম শ্রবণেতে করিয়া শ্রবণ।
অধিক জ্বলিল কোপে কৃষ্ণ-দ্বেষিগণ॥
ভীষ্মক ভূপতি শুনে এ সব সংবাদ।
বলে কৃষ্ণ পূরালে কি মোর মনসাধ॥
বাঞ্ছা-কল্পতরু তুমি বাঞ্ছা-সিদ্ধিকারী।
অতএব বাঞ্ছা পূর্ণ করিলে আমারি॥
ডুবিল ভীষ্মক-ভূপ আনন্দ-সাগরে।
অপরে সমরে রুক্মী চলে ক্রোধভরে॥
জরাসন্ধ শিশুপাল আদি ক্ষেত্রিগণে।
কোপ করি ধনু ধরি চলে সভে রণে॥
সসৈন্যে ভূপতিগণে কৃষ্ণেরে ঘেরিল।
মাতঙ্গ ধরিতে যেন পতঙ্গ ধাইল॥
আতঙ্ক ত্যজিয়া বলে জরাসন্ধ রায়।
এখানে মরিতে কেন আইলি দুরাশয়॥
লোভে ক্ষোভ পাপে মৃত্যু ঘটিল তোমার।
জান না যে জরাসন্ধ সাপক্ষ ইহার॥
পালাইয়া বেঁচে আছ লুকায়ে সাগরে।
অদ্য সদ্য পাঠাইব যমালয় তোরে॥