পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস–১৯শ শতাব্দী।
৯৫৫

শিশুপাল বলে একি সহ্য হয় আমার।
করিল আমার হস্তে সূতা-বান্ধা সার॥
মম সঙ্গে সম্বন্ধ হইল পাকাপাকি।
স্বচ্ছন্দে করিল চুরি মোরে দিয়া ফাঁকি॥
কি কব দুঃখের কথা খেদে ফাটে বুক।
কোন লাজে দেশে গিয়া দেখাইব মুখ॥
এত বলি শিশুপাল অতি রাগান্তরে।
বাণ বরিষণ করে কৃষ্ণ-কলেবরে॥
অন্য অন্য যত রাজা যুদ্ধে প্রবেশিল।
কৃষ্ণের উপরে অস্ত্রবৃষ্টি আরম্ভিল॥
সমূহ বিপক্ষে যদি আরম্ভিল রণ।
ক্রুদ্ধ হয়ে যুদ্ধে প্রবর্ত্তিল নারায়ণ॥
শারঙ্গ ধনুকে কৃষ্ণ গুণ চড়াইয়া।
খরসান নানা বাণ এড়েন রুষিয়া॥
কৃষ্ণ-অস্ত্রে অম্বরে হইল অন্ধকার।
বিপক্ষের বাণ বাণে করিল সংহার॥
শ্রীকৃষ্ণের বাণ খেয়ে শক্রর সামন্ত।
পড়িল অনেক জন হইল প্রাণান্ত॥
যত রথী সৈন্যপতি হইল মূর্চ্ছিত।
বিষ্ণু-বাণে বীরগণে ব্যথায় ব্যথিত॥
রাধাকৃষ্ণ-পাদপদ্ম হৃদে করি আশ।
রাধাকৃষ্ণ দাসে ভাষে দ্বারকা-বিলাস॥

শ্রীকৃষ্ণের স্মরণে বলরাম আসিয়া যুদ্ধ করেন।

হেন রূপে রাজাগণে করে বিসম্বাদ।
মনে মনে মন্ত্রণা করেন কালাচাঁদ॥
শক্রগণ সঙ্গে মোর সমর বাজিল।
দাদা বলরাম বার্ত্তা কিছু না জানিল॥
এত বলি বলরামে করিল স্মরণ।
শ্যামের স্মরণে রামের চিত্ত উচাটন॥
যোগ-পথে অবগত হইয়া সকল।
বিদর্ভে চলিল রাম সমরে অটল॥