শান্তি ভালাে

গুলি খেয়ে শূন্যে মৃত্যু হবার আগে পাখি
যেমন তাহার সুস্থ দেহের পাখিনীকে দেখে
কামের পরিতৃপ্তি খুঁজে আকাশে উড়ে যায়
অন্ধকারে পাখিশরীর ছেড়ে দিতে শেখে
অবাধগতি টিলের মতন ঘাস-পাথরের পানে;
তেমনই আলাে-অন্ধকারের মরণ-জীবনের
মােহনা থেকে তােমাকে ভালােবেসে
শান্তি ভালাে: শান্তি ভালো, উড়েছি আমি ঢের।

অনেক পথ চলা হল—তবুও আমি আজও
পেয়েছি যা, চেয়েছি সেই চক্রবালের রেখা?
সাত-আট বছর পরে আবার বনচ্ছবির সাথে
শীত সামাজিক রাত্তিরে আজ দেখা।
জীবন আমার সমাহিত অনেক দিনের থেকে;
নদী মাঠে ঘাসে শিশিরবিন্দুতে উৎসুক
হয়ে হৃদয় সফলতার দিন বা রাত্রি এলে
বলেছে: এই স্পষ্ট শান্ত প্রবাহ আসুক।

নারীরা আসে হারিয়ে যায়-ধীরে জগতের সাথে
জেগে থেকে পেয়েছি আমি বিষয়স্থিরতা
কিছু ভাষা পৃথিবীকে দেবার—বাকি সবই
নিহিত হ’য়ে বসে থেকে গ্রহণ করার কথা
নদী শিশির সূর্য বৃক্ষ থেকে,
চারিদিকে আকাশ ভরে হয়েছে উদয়
সকল কালের বার্তাবহ নক্ষত্রদের আভা
ব্যর্থ হয়ে তবুও মানব গল্প স্নিগ্ধ হয়।