কলিকাতা

 তোমার সঙ্গে চিঠি লিখে জিততে পার্‌বো না এ আমি আগে থাক্‌তে ব’লে রাখ্‌চি। তোমার মতো বাসন্তী রঙের কাগজ আমি খুঁজে পেলুম না। সামান্য শাদা কাগজই সব সময়ে খুঁজে পাইনে। তোমাকে তো আগেই ব’লেচি, আমি কুঁড়ে। তারপরে, আমি ভারি এলোমেলো,—কোথায় কী রাখি তা’র কোনো ঠিকানা পাইনে। এমন আমার আরো অনেক দোষ আছে। এই তো চিঠির কাগজের কথা। তারপরে ভেবেছিলুম ছবি এঁকে তোমার সচিত্র চিঠির উপযুক্ত জবাব দেবো—চেষ্টা ক’র্‌তে গিয়ে দেখ্‌লুম অহঙ্কার বজায় থাক্‌বে না। এ বয়সে নতুন ক’রে হাঁস আঁক্‌তে বসা আমার পক্ষে চ’ল্‌বে না। গ—অক্ষরের পেটের নীচে খণ্ড ত জুড়েও সুবিধে ক’র্‌তে পার্‌লুম না—সেটা এই রকম বিশ্রী দেখতে হ’লো। অনেক সময় পদ্মার চরে কাটিয়েচি; সেখানে হাঁসের দল ছাড়া আমার আর সঙ্গী ছিল না। তাদের প্রতি আমার মনের কৃতজ্ঞতা থাকাতেই আমাকে আজ থেমে যেতে হ’লো—এবারকার মতো তোমার হাঁসেরই জিৎ রইলো। এই তো গেল ছবি, তারপরে সময়। তাতেও তোমার সঙ্গে আমার তুলনাই হয় না। তাই ভয় হ’চ্চে শেষকালে তুমি রাগ ক’রে আর-কোনো গল্প-লিখিয়ে গ্রন্থকারের সঙ্গে ভাব ক’র্‌বে—কিন্তু নিমন্ত্রণ আমার পাকা রইলো।