অলৌকিক নয়, লৌকিক (তৃতীয় খণ্ড)/দ্বিতীয় পর্ব/অধ্যায়: চার


অধ্যায় চার


সেঞ্চুরি—৩

সূচি :

 ১। কবিতা—৫ : তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৮৬ সালে?

 ২। কবিতা—১৩ : ডুবোজাহাজ।

 ৩। কবিতা—৪৪ : বেতার যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ।

 ৪। কবিতা—৬০ : সাদ্দাম হুসেন।

কবিতা—১১ (সেঃ—৩)

Armes battre au ciel longue saison,
L’arbre au milieu de la cite tombe :
Verbine, rongne, glaive en face, Tison,
Lors le monarque d’Hadrie succombe.

 অর্থাৎ :

আকাশে অস্ত্রশস্ত্রের যুদ্ধ হবে অনেকক্ষণ,
শহরের মাঝখানের গাছটা পড়ে যাবে :
পবিত্র ডালটাকে কেটে ফেলা হবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে,
তারপর রাজা হাদ্রী পড়ে যাবেন।

 ব্যাখ্যাকারের ব্যাখ্যা : হেনরির হত্যাকাণ্ড।

 চিটহ্যাম মনে করেন এটা চতুর্থ হেনরির মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী। চতুর্থ হেনরি মারা যান ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে। হেনরিকে হত্য করেছিলেন ‘রাভাইলাক’ নামের এক ব্যক্তি।

 চিটহ্যাম স্বীকার করেছেন যে, প্রথম লাইন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন, কেননা প্রথম লাইন পড়লে কোনো আধুনিক যুদ্ধের বর্ণনা বলে মনে হয়। তাই প্রথম লাইন এড়িয়ে গেছেন তিনি। দ্বিতীয় লাইন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চিটহ্যাম বলেছেন যে, ‘শহরের মাঝখানের গাছটাই হল চতুর্থ হেনরি। তিনি এক গাছের মতো ব্যক্তিত্ব। গাছটা পড়ে যাবে, মানে হেনরিকে হত্যা করা হবে।’

 তৃতীয় লাইনের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চিটহ্যাম বলেছেন যে ‘পবিত্র ডাল’ মানে হল চতুর্থ হেনরির দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র—ত্রয়োদশ লুইস। তার মন ছিল পবিত্র। আর তাকে হত্যা করা হয়েছিল।...

 চতুর্থ লাইনে ‘হাদ্রী’ বলতে চতুর্থ হৈনরিকেই বোঝান হয়েছে। ‘হাদ্রী’ আর ‘চতুর্থ হেনরি' নাম দুটোর মধ্যে বিশেষ কোনো তফাত আছে কি? প্রশ্নটা করেছেন চিটহ্যাম।

 যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ :

 চিটহ্যাম এই ব্যাখ্যা দিয়ে প্রমাণ করেছেন, নস্ট্রাডামুসের সেঞ্চুরি তিনের কবিতা ১১ ও নিখুঁতভাবে মিলে গিয়েছিল। আসুন আমরা আর একটা দেশের ইতিহাসের ব্যাখ্যা দিয়েও মিলিয়ে দিচ্ছি নস্ট্রাডামুসের ওই ভবিষ্যদ্বাণী ছিল অভ্রান্ত।

 আমরা আমাদের দেশের ইতিহাসকে বেছে নিয়েই বরং দেখি।

 মহীশূরের শাসক হায়দার আলি ১৭৮২তে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। এটা আমাদের সকলেরই জানা। এবার কবিতার লাইনগুলোর সঙ্গে মেলান—

 “আকাশে অস্ত্রশস্ত্রের যুদ্ধ হবে অনেকক্ষণ”

 তাই হয়েছিল।

 “শহরের মাঝখানের গাছটা পড়ে যাবে।”

 মহীশূরের রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্তনমের মাঝখানের গাছই হল হায়দার আলি।

 “পবিত্র ডালটাকে কেটে ফেলা হবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে।”

 অর্থাৎ হায়দার আলির মতো এক পবিত্র হৃদয়ের মুসলমানকে অস্ত্রাঘাত করে ছেঁটে ফেলাটা হবে হায়দার বংশের একটি পবিত্র ডালকেই কেটে ফেলা।

 “তারপর রাজা হাদ্রী পড়ে যাবেন।”

 তারপর রাজা হাদ্রী অর্থাৎ হায়দার মারা যাবেন। ‘হাদ্রী’র সঙ্গে ‘হায়দার’ শব্দের মিল অতি সুস্পষ্ট নয়?

 এমনিভাবে বিশ্ব-ইতিহাস ঘাঁটলে কত কত শাসকদের পরিচর আমরা খুঁজে বের করে প্রমাণ করতে পারব-নস্ট্রাডামুসের কবিতার অসাধারণ সত্যতা, আশ্চর্য মিল। আর এইসব মিলের অনেকগুলোই চিটহ্যামের মিলের চেয়ে অনেক অনেক বেশি মিলতেই পারে। এইভাবেই তো নস্ট্রাডানুসের কবিতার ব্যাখ্যা করতে হয়। একথা ধ্রুব সত্যি যে:

নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যৎবাণীগুলির সাফল্যের জন্য
নস্ট্রাডামুসের থেকে অনেক-গুণ বেশি
কৃতিত্ব তাঁর ব্যাখ্যাকারদের॥

 কবিতা-১১’র বে-মিলগুলো এবার দেখা যাক। প্রথম লাইনটা একদম মেলেনি। হেনরির মৃত্যুর সময়ে আকাশে অস্ত্রশস্ত্রর কোনো যুদ্ধই হয়নি।

 দ্বিতীয় লাইনে ‘গাছ’ মানে ‘রাজা’, বলেছেন চিটহ্যাম। এ সেই “বজ্রপাত মানে লেসার বীম” বৃত্তান্ত। সারা বই জুড়ে চিটহ্যাম এ ধরনের উদ্ভট ব্যাখ্যা বহু করেছেন।

 এ ধরনের প্রচেষ্টাকে 'ধান্দাবাজি' ছাড়া আর কী বলব? তৃতীয় লাইনে ‘পবিত্র ডাল’ বলতে চতুর্থ হেনরির পুত্র ত্রয়োদশ লুইস-এর কথা বলা হয়েছে (আবার ধান্দাবাজি)। কিন্তু এখানে না বলে পারছি না যে, লুইস কিন্তু হেনরির সঙ্গে মারা যান নি। হেনরি মারা যাবার বহু বছর পরে মার গেছিলেন। তাহলে এই তৃতীয় লাইনের ব্যাখ্যাটাও একদম পানসে হয়ে গেল। তাই না?

 ‘হাদ্রী’ মানেই কি ‘চতুর্থ হেনরি’ হতে হবে? তৃতীয় হেনরি, দ্বিতীয় হেনরি, বা প্রথম হেনরি হতে বাধা কোথায়? অথবা হায়দার নয় কেন? এ প্রশ্নের কোনও জবাব নেই। ব্যাখ্যাকাররা কবিতা মিলিয়েই খালাস। যুক্তি তুলে ব্যাখ্যা চাইলে তারা জবাব দিতে নারাজ। তাদের মুখোশ খুলে যাবে যে! কারণ, জবাব থাকলে তো জবাব দেবেন।

কবিতা—১৩ (সেঃ—৩)

Par fouldre en l’arche of & argent fondu,
De deux captifs l’un l’autre mangera:
De la cite le plus grand estendu,
Quand submergee la classe nagera.

 মানে :

বাক্সের ভেতর বজ্রপাতে সোনা-রুপো গলে যাবে,
দুই বন্দী একে অপরকে ভক্ষণ করবে :
শহরের সবচেয়ে বড়-জনকে টেনে লম্বা করা হবে,
যখন নৌবহর যাত্রা করবে জলের তলা দিয়ে।

 ব্যাখ্যাকারের ব্যাখ্যা : ডুবোজাহাজ

 এই কবিতাটার যে ব্যাখ্যা করেছেন চিটহ্যাম, সেটা বেশ মজাদার। মানে হাস্যকর। শেষ লাইনটাই মোটামুটি ব্যাখ্যা করেছেন, প্রথম তিনটে লাইন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে লেজেগোবরে করে ছেড়েছেন।

 শেষ লাইন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, যে এখানে ডুবোজাহাজের কথাই বলতে চাওয়া হয়েছে। প্রথম লাইন মানে সম্ভবত দু-তিন রকম ধাতু গলিয়ে, জুড়ে ডুবোজাহাজ তৈরি হবে। মাঝের দু’লাইনের কোনো ব্যাখ্যা চিটহ্যাম করতে পারেন নি। তিনি বইতে স্বীকার করেছেন যে, তিনি ও দুটো লাইনের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি। এই হল নস্ট্রাডামুসের ডুবোজাহাজ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্‌বাণী।

 যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ :

 আমার মনে হয় না এই ভবিষ্যদ্বাণীর কোনো যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন আছে। প্রথম তিনটে লাইন তো অর্থহীন, অপ্রাসঙ্গিক। চতুর্থ লাইনে বলা হয়েছে ‘নৌবহর যাত্রা করবে জলের জলা দিয়ে।’

 এই প্রসঙ্গে বলি যে, কোনো কল্পনাশক্তিসম্পন্ন লোকের পক্ষে ভবিষ্যতের কিছু কিছু আবিষ্কার সম্বন্ধে আন্দাজ করাটা কোনো অদ্ভুত ব্যাপার নয়। আমরা দেখেছি জুল ভার্নও তাঁর উপন্যাস—‘টোয়েন্টি থাউজেন্ড লীগ্‌স্‌ আন্ডার দ্য সী’তে ডুবোজাহাজ সম্বন্ধে লিখেছেন, ডুবোজাহাজ আবিষ্কৃত হবার বহু আগে। তিনি এটা করেছেন তাঁর কল্পনাশক্তির সাহায্যে; অলৌকিক ক্ষমতায় নয়। একইভাবে নস্ট্রাডামুসও তাঁর কল্পনা শক্তির সাহায্যেই ডুবোজাহাজের কল্পনা করেছেন; অলৌকিক ক্ষমতায় নয়। আমরাও আগামী দিনের সন্বন্ধে কিছু কিছু কল্পনা করে রেখেছি। আগামী দিনে প্রায় সকলের কাছেই থাকবে তার ব্যক্তিগত আকাশযান; চাঁদে মানুষ আগামী দিনে বসতি গাড়বে; এরকম কল্পনা আমার বাবা ছোটোবেলায় করতেন, শুনেছি ঠাকুমার কাছে। থ্রি-ডাইমেনশন ছবিরও কল্পনা করতেন বাবা, বাবার ছোটোবেলাকার গল্প শোনাতে গিয়ে বলেছেন পিসি। এমনই সব চিন্তা বা আরও অনেক উদ্ভট চিন্তা নিশ্চয় বহু মানুষের মাথাতেই এসেছিল, আসছে, আসবে। কিন্তু এইসব কল্পনা বাস্তবের সঙ্গে মিলে যাওয়া কি-নিখুঁৎ ভবিষ্যদ্বাণীর প্রমাণযোগ্য? অবশ্যই নয়।

কবিতা—৪৪ (সেঃ—৩)

Quand l’animal a l’homme domestique,
Apres grands peines & sauts viendra parler,
De fouldre a veirge sera si malefique,
De terre prinse & suspvndue en l’air.

 অর্থাৎ :

যখন মানুষের পোষা সেই জানোয়ারটা
কথা বলতে শিখবে অনেক চেষ্টার পর,
বজ্রপাত, যা দণ্ডর (রড) পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক,
তাকে পৃথিবী থেকে বার করে মেলে ধরা হবে শূন্যে।

 ব্যাখ্যাকারের ব্যাখ্যা : বেতার যোগাযোগ ও বিদ্যুতের আবিষ্কার

 এরিকা মনে করেন এই কবিতাতে বেতার যোগযোগ, ও বিদ্যুৎ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। প্রথম দু’লাইনে বেতার যোগাযোগের কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন নস্ট্রাডামুস। ‘সেই জানোয়ারটা’ আসলে কোনো জানোয়ারই নয়। ‘জানোয়ার’ বলতে আসলে বলতে চাওয়া হয়েছে বেতার-যন্ত্রের স্পিকারের কথা! তৃতীয় আর চতুর্থ লাইনে বলতে চাওয়া হয়েছে বিদ্যুতের কথা। বজ্রপাত মানেই বিদ্যুৎ। দণ্ড মানে সম্ভবত বিদ্যুৎ-নিরোধক ধাতব রড, যা বাড়ির ছাদে দেখা যায়। ‘মেলে ধরা হবে শূন্যে', মানে বিদ্যুৎবাহী তারগুলো ঝোলানো হবে শূন্যে।

 যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ :

“যখন মানুষের পোষা সেই জানোয়ারটা
কথা বলতে শিখবে অনেক চেষ্টার পর,”

 এখানে ‘জানোয়ার’ নিশ্চয়ই কাকাতুয়া, টিয়া, ময়না জাতীয় কোনও পাখি, যারা পোষ মানে, যাদের কথা বলতে শেখানো যায় চেষ্টা করলে। কিন্তু মানুষের পোষা সেই পাখিকে অনেক চেষ্টায় কথা বলা শেখানোর পর কী? উত্তর নেই। আছে বিরাট ধাঁধা অথবা নেহাতই পাগলামো।

 শেষ দু’টি লাইনে আছে—দণ্ডের পক্ষে ক্ষতিকারক বজ্রকে বের করে আবার ছুঁড়ে দেওয়া আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন নস্ট্রাডামুস – এরিকা এমনতর দাবি করলে কবিতার অর্থের সঙ্গে অনেক বেশি মিল খুঁজে পাওয়া যেত। তাই নয় কি?

কবিতা—৬০ (সেঃ—৩)

Par toute Asie grand proscription,
Mesme en Mysie, Lysie & Pamphylie :
Sang versera par absolution,
D’un jeune noir rempli de felonnie.

 অর্থাৎ :

সারা এশিয়া জুড়ে লাগবে অশান্তি,
অশান্তি ছড়াবে মাইসিয়া, লাইসিয়া, প্যামফালিয়াতেও :
রক্ত বইবে এক কালো চামড়া অল্পবয়সী ব্যক্তির জন্য,
যার মন অশুভ-চিন্তায় ভরা।

 ব্যাখ্যাকারের ব্যাখ্যা : সাদ্দাম হুসেন

 নতুন ব্যাখ্যাকাররা মনে করেন এই কবিতাতে সাদ্দাম হুসেনের কথা বলে গেছেন চারশো বছর আগের ভবিষ্যৎদ্রষ্টা—নস্ট্রাডামুস। এই ব্যাখ্যাটা বেরিয়েছে মাত্র ক’দিন আগে; উপসাগরীয় যুদ্ধ শেষ হবার পরে।

 সাদ্দাম হুসেনের কাণ্ডকারখানার সঙ্গে মোটামুটি কবিতাটা মিলে যাচ্ছে। ব্যাখ্যাকাররা বলেছেন—মাইসিয়া, লাইসিয়া ও প্যামফালিয়া দেশগুলি ইরাকের কাছেই। তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ—একটু বলবেন কী, এই দেশগুলির বর্তমান নাম কী? কারণ ওই নামের কোনো দেশ এশিয়াতে আছে বলে আমার জানা নেই।

 ব্যাখ্যাকারদের মতে, অল্পবয়সী কালো চামড়া ব্যক্তিটিই হল সাদ্দাম হুসেন।

 যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ :

 এই একটা কবিতা, যেখানে শুধু ব্যাখ্যাকারের নয়, নস্ট্রাডামুসেরও ধূর্ততা মেশানো আছে। নস্ট্রাডামুস ভালোই জানতেন যে, এশিয়ার মতো মস্তবড় জায়গায় কোনোদিন অশান্তি—রক্তপাত না হয়ে যেতে পারে না। আর অশান্তি হলে তার নেতৃত্ব যে কোলে কালো চামড়া ব্যক্তিই দেবে এটাও আন্দাজ করা কঠিন নয়, কেননা সিংহভাগ শিয়দেরই গাঢ় রঙের চামড়া। তাই সব রকম আন্দাজ মিশিয়ে লিখেছেন এ কবিতা। সফল হতে বাধ্য।

 তবুও খুঁজলে ভুল বার করা যায়। সাদ্দামকে কি কালো চামড়া বলা চলে?

পাঠকরাই বলুন। সাদ্দামকে কি অল্পবয়সী বলা চলে? তিরিশের মধ্যে বয়স হলে তাকে অল্পবয়সী বলা যায়। সাদ্দামের বয়স তার দ্বিগুণ। আর গায়ের রঙটি তো খাঁটি দুধে-আলতা। অতএব....

 পাঠকরা এশিয়ার ইতিহাস ঘাঁটলে অন্তত একশোটা আলাদা আলাদা ‘অশান্তি’র ঘটনার সঙ্গে এই কবিতা জুড়তে পারবেন। কবিতাটা চালাকি করে সেভাবেই লেখা।

 অবশেষে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। ব্যাখ্যাকাররা উপসাগরীয় যুদ্ধের আগে কেন পৃথিবীবাসীকে সাবধান করলেন না যে, একটা মস্ত যুদ্ধ লাগতে চলেছে, সাবধান! তাহলে বহু লোক সাবধান হয়ে ইরাক বা কুরেত ছেড়ে চলে আসত, এবং যুদ্ধে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা পড়ত না! কেন?

মজার ব্যাপার এই যে, কোনো ঘটনা ঘটার আগে ব্যাখ্যাকাররা
বিশ্ববাসীকে সাবধান করতে পারেন না। ঘটনাটা ঘটে
যাবার পর তাঁরা শোরগোল তোলেন যে,
‘নস্ট্রাডামুস এ ঘটনার কথা
আগেই বলেছিলেন’।

 কেন এমন হয়, আশাকরি পাঠকরা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন।