আজাদী সৈনিকের ডায়েরী/সমর সঙ্গীত: কদম কদম বাড়ায়ে যা

৭ই জানুয়ারি ১৯৪৪: রেঙ্গুন:

 আজ কয়েকদিন হইল আবার রেঙ্গুনে আসিয়াছি। আজ আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের অস্থায়ী রাজধানী রেঙ্গুনে স্থাপিত হইল। সিঙ্গাপুর ভারতবর্ষ হইতে অনেক দূর। এবার মনে হইল, দেশের কাছে আসিলাম।

 আজ সকালে আজাদ হিন্দ ফৌজের এক কুচকাওয়াজ হইল। এক দল সৈন্য সমবেত কণ্ঠে হিন্দীতে সমর সঙ্গীত গাহিল। গানের সুরে প্রাণে উন্মাদনা আসে।

‘কদম কদম বাড়ায়ে যা
খুসীকে গীত গায়ে যা
এ জিন্দগী হায় কৌম্ কী
তু কৌম্ পে লুটায়ে যা।

তু শেরে-ই-হিন্দ আগে বাড়
মর্‌ণেসে ফির ভি তু ন ডর
আস্‌মান তক উঠাকে শর
জোসে বতন্ বড়ায়ে যা।
তেরী হিম্মত বড়তি রহে
খুদা তেরী শুন্‌তা রহে
যে সামনে তেরে চড়ে
তু খাকমে মিলায়ে যা।
চলাে দিল্লী পুকার কে
কৌমী নিশান সামাল্‌ কে
লাল কিল্লে পে গাড়কে
লহরায়ে যা লহরায়ে যা।

গানটীর অর্থ—

‘পা ফেলিয়া অগ্রসর হও
আনন্দ গান গাহিয়া যাও।
তােমার জীবন জন্মভূমির
জন্মভূমির জন্য তাহা দান কর।
ভারতের বাঘ! আগে চল;
মরণের ভয় করিও না।
আকাশ তক মাথা উঁচু কর;
জন্মভূমির শক্তি বাড়াও।
তােমার শক্তি বাড়িয়া চলুক;
ভগবান তোমার প্রার্থনা শুনুন।

তোমার সামনে যে আসিতে সাহস করে
সে যেন মাটীতে মিশাইয়া যায়।
‘দিল্লী চলো’—এই ধ্বনি তুলিয়া
তোমার দেশের নিশান দৃঢ়ভাবে ধরিয়া
লাল কেল্লার উপর তাহা প্রোথিত করিবার জন্য
যুদ্ধে অগ্রসর হও—যুদ্ধে অগ্রসর হও।