চন্দ্রকাব্য

অনন্ত কাল ধরে কাব্যে গীতে অভিনন্দিত
চন্দ্রিমার মনোলোভা অনবদ্য সৌন্দর্য বন্দনা
তোমার আমার মনে শৈশবে যৌবনে প্রান্তে
চন্দ্রের বিচিত্র রূপ কত ছবি আঁকে মুগ্ধ মোহে।
স্নিগ্ধ আলো স্মিত হাসির নিঃসীম বর্ণনা
কবির কল্পনা তুলি আঁকে নৈশ জ্যোৎস্না অভিসারে।

অমাবস্যা প্রতীক্ষার প্রাচীরের ওপার থেকে
ডেকে এনে পূর্ণিমার বিচ্ছুরিত আলোক বর্তিকা
জীব জড় স্থাবর জঙ্গমের এই বিপুল ধরায়
বনানীকে পুলকিত করে; উদ্বেলিত আকাশ,
আমাদের সর্ব সত্বা প্রাণমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়;
রুদ্র দগ্ধ সূর্যতাপ পান করে সুশীতল চন্দ্রমমতা।

বিজ্ঞানের চক্রতলে অনুগত চন্দ্রমহিমা।
কৌতুকে কৌতুহলে আজ নব রূপে পরিচয়ে;
রকেটে চন্দ্রযানে আমরা আজ সুসজ্জিত,
স্বপ্নভঙ্গ বাস্তবের ঈশ্বরে ঈশ্বরে গতিরথে
আবিস্কৃত একান্ত আপন বিশ্ব চন্দ্ররাজ্যে নেমে
হাঁটি পা পা, বালি নুড়ি মাটির নমুনা
যতনে কুড়োই কী যে আশ্চর্য নেশায়!
সেই লগ্নে প্রেয়সীরা চন্দ্রকাব্য ভুলতে চেয়েছে,
অকপট ছাড়পত্র চায় তারা চন্দ্রযান দূর পাড়ি দিতে
মহা শূন্যে চন্দ্রপুরীর কোন এক নিশ্চিন্ত ষ্টেশনে।

চাঁদমামা হয়ত আর আসবে না দুরন্ত শিশুদের ভালে,
চন্দ্রালোকে চঞ্চল হবে না তো ভাবী কালে যুবক যুবতী;
স্বপ্নের ঊর্ণনাভে রহস্যের রোমাঞ্চে সমৃদ্ধ

চন্দ্রমহিমা আজ বৈজ্ঞানিকের ডায়েরীতে টেলিভিসনে।
চন্দ্রকাব্যের চেয়ে এই শতাব্দীতে চন্দ্রযাত্রা কাম্য হল
বিশ্বের বিকিকিনির বস্তুময় হাটের পসরায়!