ইস্তাহার/বীরবরণ
বীরবরণ
ইতিহাস করে না তো কভু ভুল বীর, তোমা বরণ করিতে
তোমার বিজয় ধ্বজা উড়ায়ে যখনই আসো বরমাল্য নিতে,
রক্তজয়ী দেশকালপাত্র হয় খেলাঘরে পুতুল তোমার,
যুগে যুগে তুমি বীর কর্ণ অর্জুন নেপোলিয়ন হিটলার,
বীরভোগ্যা বসুন্ধরা বিজয় মুকুট তব উন্নত মস্তকে পরায়,
দেশে দেশে ইতিহাস যুগে যুগে তব বন্দনাগীতি গায়।
তুমি বীর, ইউরোপ এশিয়া আফ্রিকা মহাদেশে
সিংহের পৌরুষে কর পদানত নানা জাতি বিক্রমে অক্লেশে,
প্রাচীন কালের সূর্য থেকে কর তেজ বীর্য অস্ত্র আহরণ,
প্রকৃতির তনু দেয় ভাণ্ডারের অফুরন্ত শৌর্য আভরণ,
সহস্র সমুদ্র দেয় তোমার রথের চক্রে দুরন্ত তরঙ্গ দ্রুত গতি,
ত্রিকালের ত্রিনয়ন তব দেহে নিরস্তর সঞ্চারে শক্তিমান জ্যোতি
মত্ত দম্ভে উত্তাপে উদ্বেলিত উন্নত বক্ষ কম্পমান,
দুঃসাহসী পুষ্পরথে চলে তব বিজয় যাত্রার অভিযান।
আসির ঝঙ্কারে কাঁপে থরথর মেদিনীর অন্তর বাহির,
ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসে শিঙা দামামার তব পদধ্বনি তোল, মহাবীর।
দেশমাতৃকার প্রিয় কুলকন্যাদের সাথে শত সহচরী
মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে চন্দনে কুসুমে ধূপে আরতি করি
সুগন্ধি মাল্যদানে শঙ্খ রবে সবে তোমা বরণ করে,
তব স্তুতি কীর্তিগাঁথা কালজয়ী ইতিহাস লেখে তারপরে।