উৎসর্গ/১৯
হে রাজন্ , তুমি আমারে
বাঁশি বাজাবার দিয়েছ যে ভার
তোমার সিংহদুয়ারে —
ভুলি নাই তাহা ভুলি নাই ,
মাঝে মাঝে তবু ভুলে যাই ,
চেয়ে চেয়ে দেখি কে আসে কে যায়
কোথা হতে যায় কোথা রে ।
কেহ নাহি চায় থামিতে ।
শিরে লয়ে বোঝা চলে যায় সোজা ,
না চাহে দখিনে বামেতে ।
বকুলের শাখে পাখি গায় ,
ফুল ফুটে তব আঙিনায় —
না দেখিতে পায় , না শুনিতে চায় ,
কোথা যায় কোন্ গ্রামেতে ।
বাঁশি লই আমি তুলিয়া ।
তারা ক্ষণতরে পথের উপরে
বোঝা ফেলে বসে ভুলিয়া ।
আছে যাহা চিরপুরাতন
তারে পায় যেন হারাধন ,
বলে , ‘ ফুল এ কী ফুটিয়াছে দেখি ।
পাখি গায় প্রাণ খুলিয়া । '
হে রাজন্ , তুমি আমারে
রেখো চিরদিন বিরামবিহীন
তোমার সিংহদুয়ারে ।
যারা কিছু নাহি কহে যায় ,
সুখদুখভার বহে যায় ,
তারা ক্ষণতরে বিস্ময়ভরে
দাঁড়াবে পথের মাঝারে
তোমার সিংহদুয়ারে ।