এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা/শকুন্তলা

শকুন্তলা।

 শকুন্তলার উচ্চ শিক্ষা হইয়াছিল। তাঁহার পালক পিতা কহেন—“কন্যা ঋণ স্বরূপ—উৎকৃষ্ট দূরমূল্য রত্ন—পিতারই গচ্ছিদ্ধন।” রাজা দুষ্মন্ত কণ্বের আশ্রমে শকুন্তলাকে বিবাহ করিয়া রাজ্যে গমন করেন। অনস্বর শকুন্তলার এক পুত্র জন্মে। তিনি ঐ পুত্রকে সঙ্গে করিয়া রাজার সভায় উপস্থিত হইয়া বলেন—রাজন্! আমি তোমার ভার্য্যা ও এই বালকটি তোমার পুত্র। রাজা তাহার কথা অবিশ্বাস করিলেন। শকুন্তলা বলিলেন রাজন্! ভার্য্যাকে অবহেলা করিও না—“ভার্য্যা ধর্ম্ম কার্য্যে পিতার স্বরূপ—আর্ত্ত ব্যক্তির জননী স্বরূপ এবং পথিকের বিশ্রাম স্থান স্বরূপ—আর সত্যই পরম ব্রহ্ম। সত্য প্রতিজ্ঞা প্রতিপালন করাই পরমোৎকৃষ্ট ধর্ম্ম। অতএব তুমি সত্য পরিত্যাগ করিও না।”