এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা/সুভদ্রা

সুভদ্রা।

 সুভদ্রা অর্জ্জুনকে বিবাহ করেন। অভিমন্যু সমরে প্রাণত্যাগ করিলে তিনি যে বিলাপ করেন, তাহাতে তাঁহার পারলৌকিক উচ্চ ভাব প্রকাশ হয়।“সংশিতব্রত মুনিগণ ব্রহ্মচর্য্য দ্বারা এবং পুরুষগণ একমাত্র পত্নী পরিগ্রহ দ্বারা যে গতি প্রাপ্ত হন, তুমি সেই গতি লাভ কর। ভূপালগণ সদাচার চারিবর্ণের মনুষ্যগণ পুণ্য ও পুণ্যবানেরা পুণ্যের সুরক্ষণ দ্বারা যে সনাতন গতি লাভ করেন, তুমি সেই গতি প্রাপ্ত হও। যাঁহারা দীনগণের প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন করেন, যাঁহারা সত্য সংবিভাগ করেন, যাঁহারা পিশুনতা হইতে নিবৃত্ত হইয়াছেন, যাঁহারা সতত যজ্ঞানুষ্ঠান, ধর্ম্মানুশীলন ও গুরুশুশ্রূষায় নিরত থাকেন, অতিথিগণ যাঁহাদিগের নিকট বিমুখ হন না, যাঁহারা নিতান্ত ক্লিষ্ট বিপন্ন ও পুত্রশোকানলে দগ্ধ হইয়াও আত্মার ধৈর্য্য রক্ষা করেন, যাঁহারা সর্ব্বদা মাতা পিতার সেবায় নিরত থাকেন এবং আপনার পত্নীতে নিরত হন, যাঁহারা গত মৎসর হইয়া সর্ব্ব ভূতের প্রতি সমদৃষ্টি হন, সর্ব্ব শাস্ত্রজ্ঞ, জ্ঞানতৃপ্ত, জিতেন্দ্রিয় সাধুগণের যে গতি, তোমার সেই গতি হউক।”