এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা/ৰুক্মিণী

ৰুক্মিণী।

 ভীষ্মক রাজার কন্যা রুক্মিণী শ্রীকৃষ্ণকে এইরূপ পত্র লিখিয়াছিলেন। “হে নরশ্রেষ্ঠ! কুল শীল রূপ বিদ্যা বয়ঃ ধন সম্পত্তি ও প্রভাব দ্বারা উপমা রহিত এবং নরলোকের যে মনোভিরাম যে তুমি, তোমাকে কোন কুলবতী গুণদ্বারা বুদ্ধিমতী কন্যা বিবাহ বাসরে পতিত্বে বরণ করিতে অভিলাষ না করে? অতএব আমাতে দোষের শঙ্কা কি? হে বিভো! সেই হেতু আমি তোমাকে নিশ্চয় পতিত্বে বরণ করিয়াছি এবং আমায় তোমাতে সমর্পণ করিয়াছি, অতএব তুমি এখানে আসিয়া আমাকে পত্নী স্বীকার কর। হে অম্বুজাক্ষ! তুমি বীর, আমি তোমার বস্তু; চেদিরাজ যেন আমাকে স্পর্শ না করে, শীঘ্র আসিয়া তাহা কর। আমি যদি পূর্ব্বজন্মে পূর্ত্তকর্ম্ম বা অগ্নিহোত্রাদি যজ্ঞ বা পর্বণাদি দান বা তীর্থ পর্য্যটনাদি বা নিয়ম ব্রতাদি কিম্বা দেব বিপ্র গুরু অৰ্চনাদি দ্বারা নিয়ত ভগবান পরমেশ্বরের আরাধনা করিয়া থাকি, তবে শ্রীকৃষ্ণ আসিয়া আমার পাণিগ্রহণ করুন, দমঘোষ পুত্র প্রভৃতি অন্য ব্যক্তি না করুক। হে অজিত! কল্য বিবাহের দিন, অতএব তুমি গোপনে বিদর্ভে আগমন পূর্ব্বক সেনাগণে পরিবৃত হইয়া চেদিরাজ ও মগধ রাজের বল সমুদয় নির্ম্মন্থন কর; হঠাৎ বীর্য্যস্বরূপ শুল্ক দ্বারা ব্রাহ্ম বিধান অনুসারে আমাকে বিবাহ কর। যদি বল তুমি অন্তঃপুরমধ্যচারিণী, অতএব তোমার বন্ধুগণকে নিহত না করিয়া কি প্রকারে তোমাকে বিবাহ করিব? তাহার উত্তর বলি। বিবাহ পূর্ব্বদিনে মহতী কুলদেব যাত্রা হইয়া থাকে, যে যাত্রায় নববধূকে পুরীর বাহিরে অম্বিকার মন্দিরে গমন করিতে হয়, অতএব অম্বিকার মন্দির হইতে আমাকে হরণ করা অতি সুকর।”