কিশোরদের মন/অষ্টম পরিচ্ছেদ

অষ্টম পরিচ্ছেদ

 সন্ধ্যে রাঙা হয়ে উঠেছে।

 দূর থেকেই বাড়ীর গেট, দাঁড়িয়ে আছে।

 ফুটবলের ফিল্ডে গোলপোষ্ট্‌টার কাছে কোন কোনদিন দেখা যেত, সুবিনয় সেখানে পায়চারি কর্‌ছে, যখন খেলা শেষ হয়ে গেছে।

 সেই পায়চারির পা দুটোই তাকে ধীরে ধীরে বাঁধের উপরে বড় রাস্তাতে নিয়ে যেত, গির্জ্জার বকুলতলায়, বাঁধ যেখানে শেষ হয়েছে। বাঁধানো চত্বরে সে উঠত। কিন্তু সদ্য ঝরে’ পড়া বকুলের সৌরভ দিয়ে সেখানে কি কথা যে লেখা ছিল, তা সে পড়ে’ উঠ্‌তে পারত না।

 মৌমাছিরা গুন্‌ গুন্‌ করে’ বোধ হয় একজনের আনন্দের চঞ্চলতার কথা মনে করিয়ে দিত।

কিন্তু থাক্‌।

 মার কাছে সে গিয়ে যখন খেতে বস্‌ত, আলোতে বই খুলে’ পড়া সুরু কর্‌তেই যখন বিমলের হাতের নোট্‌স্‌গুলো চোকে পড়্‌ত, তখন আলোর সাম্‌নেও তার সেদিনের তারিখটি যেন অনেক দূরে কোথায় অনেক পিছিয়ে যেত।

 হয়ত শুধু মণ্টু আর রেণুর গলা জড়িয়ে ধরা—ডাকটি এসে আবার সেদিনের তারিখে তাকে অজ্ঞাতে আন্‌ত ফিরিয়ে!

 সে তাদের বুকে টেনে নিয়ে এসে মিথ্যেই খেলা দিতে বস্‌ত। কেন না, সে খেলাটাই হয় ত সে সবটা জানে না! তবু সে ভুল করেও খেল্‌ত।

 না হয় এমন একটা গল্প যুড়ে দিত যে, যার আর কখনও শেষ না হয়।

 আর তাও না হলে, নিজের একটা কঠিন মুখস্থের পড়া নিয়ে বসে যেত।