একাকিনী

এক্‌টি মেয়ে একেলা,
সাঁঝের বেলা,
মাঠ দিয়ে চলেছে।
চারিদিকে সোনার ধান ফলেছে!
ওর মুখেতে পড়েছে সাঁঝের আভা,
চুলেতে করিছে ঝিকিঝিকি।
কে জানে কি ভাবে মনে মনে
আনমনে চলে ধিকিধিকি।

পশ্চিমে সোনায় সোনাময়,
এত সোনা কে কোথা দেখেছে।
তারি মাঝে মলিন মেয়েটি
কে যেনরে এঁকে রেখেছে।
ওর মুখখানি কেনগো অমন ধারা
যেন কোন খানে হয়েছে পথহারা
কারে যেন কি কথা শুধাবে,
শুধাইতে ভয়ে হয় সারা।
ওর চরণ চলিতে বাধে বাধে
শুধালে কথাটি নাহি কয়।
বড় বড় আকুল নয়নে
শুধু মুখপানে চেয়ে রয়।
নয়ন করিছে ছল ছল্‌,
এখনি পড়িবে যেন জল।

সাঁঝেতে নিরালা সব ঠাঁই,
মাঠে কোথাও জনপ্রাণী নাই—
দূরে অতি দূরে দেখা যায়,
মলিন সে সাঁঝের আলোতে
ছায়া ছায়া গাছপালাগুলি
মেশে মেশে মেঘের কোলেতে।

বড় তোর বাজিতেছে পায়,
আয়রে আমার কোলে আয়।

আ-মরি জননী তোর কে!
বল্‌রে কোথায় তোর ঘর।
তরাসে চাহিস্ কেনরে?
আমারে বাসিস্‌ কেন পর?