জনগণমন — জাতীয় সঙ্গীতে অনুমোদিত স্বরলিপি
সুর অক্ষুণ্ণ রেখে অর্কেস্ট্রা ও সামরিক বাদ্যসঙ্গীতের উপযুক্ত জাতীয় সঙ্গীতের একটি স্বরলিপি বানানোর জন্য ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে আকাশবাণীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আকাশবাণী এ ব্যাপারে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের সাহায্য চায়। বিবিসি তিন জন ব্রিটিশ সুরকারকে দিয়ে তিনটি স্বরলিপি প্রস্তুত করায় এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বরলিপিকারদের নাম গোপন রেখে রেকর্ডিংগুলি আকাশবাণীকে পাঠানো হয়। এগুলি বিবেচনা করতে ২০ জানুয়ারি ১৯৫০, বিকাল পৌনে চারটায় সংবিধান সভার স্টিয়ারিং কমিটির বিশেষ বৈঠক বসে। এই বৈঠকে হারবার্ট মারিল-কৃত স্বরলিপিটি অনুমোদিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নেহরু মারিলকে ধন্যবাদজ্ঞাপক চিঠি পাঠান, তৎসঙ্গে সম্মানদক্ষিণাসূচক ৫০০ পাউন্ডের চেক। ২৪ জানুয়ারি ১৯৫০, সংবিধান সভার সাধারণ অধিবেশনে সভাপতি ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ জনগণমন সঙ্গীতটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করেন। ২৬ মে ১৯৫১ জনগণমন-এর কণ্ঠসঙ্গীত রূপটি অনুমোদিত হয়। ১৯ আগস্ট ১৯৫১-এর The Indian Listener পত্রিকায় জাতীয় সঙ্গীতের ধ্বনিমূলক রূপ ও স্বরলিপি প্রকাশিত হয়। (সূত্র: H. R. Luthra, অধ্যায় ১৯, The Anthem and AIR, পৃঃ ১৫৭, Indian Broadcasting, প্রকাশনা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, ১৯৮৬।)
এই স্বরলিপিটি ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।(২)JANA GANA MANA
এই লেখাটি ভারত সরকারের কপিরাইটভুক্ত একটি রচনা। তবে, ভারত সরকারের কিছু নির্দিষ্ট অধ্যাদেশের প্রতিরূপায়ন বা প্রকাশ কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ (যথা সংশোধিত) অনুসারে কপিরাইটের লঙ্ঘন নয় বলে বিবেচিত হয়।
ভারত সরকারের এই রচনাগুলি কপিরাইট আইন, ১৯৫৭-এর ৫২(১)(q) ধারা অনুসারে পুনঃপ্রকাশ করা যেতে পারে—
- আইনসভার আইন ব্যতীত যে কোন বিষয় যা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে;
- আইনসভার আইন, এই শর্তে যে আইনের সঙ্গে কোন টীকা বা অন্য কোন মৌলিক বিষয় থেকে থাকলে সেটিও প্রতিরূপের অংশ হবে;
- সরকার-নিযুক্ত কোন সমিতি, আয়োগ, পরিষদ, পর্ষদ বা অন্য সমগোত্রীয় সংস্থার প্রতিবেদন, যা আইনসভায় পেশ করা হয়েছে এবং যার প্রতিরূপায়ন বা প্রকাশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নয়;
- আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যান্য বৈচারিক কর্তৃপক্ষের যে কোনও রায় বা আদেশ, যদি তার প্রতিরূপায়ন বা প্রকাশ রায়- বা আদেশ-প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিষিদ্ধ না হয়।
১২ ডিসেম্বর ২০০৭-এ প্রদত্ত "ইস্টার্ন বুক কোম্পানি ও অন্যান্য বনাম ডি.বি. মোদক ও অন্য" শীর্ষক ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায় আইনের এই ধারাটিতে বিবৃত বিষয়গুলিকে পাবলিক ডোমেইন হিসাবে ব্যাখ্যা করে।
এই রচনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পাবলিক ডোমেইন, কারণ এটি একটি সরকারি অধ্যাদেশ, স্থানীয় বা বিদেশী। দেখুন: কপিরাইট অফিসের কর্মপদ্ধতি তৃতীয় সংকলনের ৩১৩.৬(C)(২) অনুচ্ছেদ। এই জাতীয় দলিলগুলিতে "বৈচারিক মতামত, প্রশাসনিক অনুশাসন, আইনসভার আইন, সার্বজনিক অধ্যাদেশ এবং অনুরূপ সরকারি আইনী নথি" অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কপিরাইট আইনের ধারা ৫২(১)(r) অনুযায়ী এই রচনার অনুবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ তখনই করা যাবে যখন সরকার কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ভাষায় কোন অনুবাদ প্রকাশিত হয় নি কিংবা সরকারি অনুবাদ জনগণকে বিক্রির জন্য উপলব্ধ নয়। এই অনুবাদের একটি বিশিষ্ট স্থানে এই বক্তব্য থাকতে হবে যে, অনুবাদটি সরকার দ্বারা অনুমোদিত বা গৃহীত নয়।
কোন আইনের সরকারি অনুবাদ যদি প্রাধিকৃত পাঠ (কেন্দ্রীয় বিধি) আইন, ১৯৭৩ অনুসারে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে জারি হয়ে থাকে, তবে তা মূল আইনের সমতুল্য এবং একইরকমভাবে পুনঃপ্রকাশযোগ্য।এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।