দিল্লী চলো/হিন্দী কৌমী তরনো
হিন্দী কৌমী তরনো
(ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত)
এই জাতীয় সঙ্গীতটি রবীন্দ্রনাথের ‘জনগণ মন অধিনায়ক’ গানের অনুসরণ করে হিন্দী ভাষায় লেখা। নেতাজরি অনুমোদনে সর্ব্বত্র এই গান গাওয়া হত। সুর সহযোগে এই জাতীয় সঙ্গীত শেখবার জন্য নেতাজি সকল ভারতীয়কে নির্দ্দেশ দান করেন।
শুভ সুখ চৈন কী বর্খা বরষে, ভারত-ভাগ হৈ জাগা
পাঞ্জাব সিন্ধ গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
চঞ্চল সাগর বিন্ধ্য হিমালা নীলা যমুনা গঙ্গ
তেরে নিত গুণ গায়ে
তুঝ-সে জীবন পায়ে
সব তন্ পায়ে আশা
সূরজ বনকর জগপর চমকে ভারত নাম সুভাগা
জয় হো জয় হো জয় হো
জয় জয় জয় জয় হো। ১
সব-কে দিল মেঁ প্রীত বসায়ে তেরী মীঠী বাণী
হর সুবে-কে রহনে বালে, হর মজ্ হব্-কে প্রাণী
সব ভেদ-ও-ফরক মীটা-কে
সব গোদমেঁ তেরী আকে
গূঁথেঁ প্রেম-কী মালা
সূরজ বনকর জগপর চমকে ভারত নাম সুভাগা
জয় হো জয় হো জয় হো
জয় জয় জয় জয় হো। ২
সূবাহ্ সবেরে পঙ্খ্-পখেরা তেরে-হী গুণ গাঁয়ে
বাস-ভরী ভরপুর বায়েঁ জীবন-মেঁ রূত লায়েঁ
সব মিল কর হিন্দ পুকারে,
“জয় আজাদ-হিন্দ কে নারে,
প্যারা দেশ হামারা।”
সূরজ বনকর জগপর চমকে ভারত নাম সুভাগা
জয় হো জয় হো জয় হো
জয় জয় জয় জয় হো
ভারত নাম সুভাগা।
শুভ সুখ ও শান্তির বর্ষা বর্ধিত হচ্ছে। ভারতের ভাগ্য জাগ্রত হয়েছে। পাঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, দ্রাবিড়, উৎকল, বঙ্গ, চঞ্চল সাগর, বিন্ধ্য-হিমালয়, নীল যমুনা ও গঙ্গা নিত্য তোমারই গুণ গায়। তোমার কাছ থেকেই জীবন পায়; এবং সমস্ত তনু (তোমার কাছ থেকে) আশা পায়। ভারতের এই সৌভাগ্যশীল নাম সূর্য্য হয়ে (সূর্য্য বনে গিয়ে) জগতের উপর দীপ্তি পায়। তোমার জয় হোক।
তোমার মিষ্টবানী সকলের চিত্তে প্রীতিস্থাপন করে; সমস্ত সুবার (প্রদেশের) অধিবাসীরা এবং সকল ধর্ম্মের জনগণ সব ভেদ ও পার্থক্য দূর করে তোমার কোলে এসে প্রেমের মালা গাঁথুক। ভারতের এই সৌভাগ্যশালী নাম সূর্য্য হয়ে জগতের উপর দীপ্তি পায়। তোমার জয় হোক।
প্রাতঃকালে নানা জাতীয় পাখী তোমারই গুণ গায়। সুবাসে ভরা পরিপূর্ণ হাওয়া জীবনে সাড়া আনে। সকলে মিলে ভারতের নাম ঘোষণা করে। “স্বাধীন ভারত-পতাকার জয়! আমার প্রিয় দেশ!” ভারতের এই সৌভাগ্যশালী নাম সূর্য্য হয়ে জগতের উপরে দীপ্তি পায়। তোমার জয় হোক, ভারতের এই সৌভাগ্যশালী নাম।