৩৩

তখন করি নি নাথ, কোনো আয়োজন;
বিশ্বের সবার সাথে হে বিশ্বরাজন্,
অজ্ঞাতে আসিতে হাসি আমার অন্তরে
কত শুভদিনে, কত মুহূর্তের ’পরে
অসীমের চিহ্ন লিখে গেছ। লই তুলি
তোমার স্বাক্ষর-আঁকা সেই ক্ষণগুলি—
দেখি তারা স্মৃতি-মাঝে আছিল ছড়ায়ে
কত-না বলিব সাথে, আছিল জড়ায়ে
ক্ষণিকের কত তুচ্ছ সুখদুঃখ ঘিরে।

হে নাথ, অবজ্ঞা করি যাও নাই ফিরে
আমার সে ধুলাস্তূপ খেলাঘর দেখে;
খেলা-মাঝে শুনিতে পেয়েছি থেকে থেকে
যে চরণধ্বনি, আজ শুনি তাই বাজে
জগৎ-সংগীত-সাথে চন্দ্রসূর্য-মাঝে।