[নেপথ্যে সংগীত]। দুর্গা দ্রুতগতিতে হেঁটে যায়।

তাদের বাড়ির সামনের গাছ লতা পেরিয়ে, গাছের গুঁড়িতে বাঁধা গরুটির পাশ দিয়ে গিয়ে দুর্গা জরাজীর্ণ দরজার মধ্যে দিয়ে উঠোনে এসে ঢোকে।..

তুলসীতলা পেরিয়ে হঠাৎ ঘুরে একটা ঝোপের উপর থুতু ফেলে। তারপর ফিরে পিসির (ইন্দির ঠাকরুণের) ঘরের সামনে দাওয়ায় ওঠে। পিসির ঘরে উঁকি দেয়।..

[০০:০৩:৫১]

দুর্গা (ফিসফিস ক’রে) পিসি! পিসি!

ইন্দির ঘরে নেই। দুর্গা ঘুরে পিসির হাঁড়িটার কাছে যায়। হাঁড়ি থেকে একছড়া কলা বের করে। তারপর নিজের কাপড়ের ভেতর থেকে একটা পেয়ারা বের করে হাঁড়িতে রেখে তার উপর কলাগুলো রাখে এবং হাঁড়ির মুখটা তালপাতা দিয়ে চাপা দেয়।...

হাঁড়ির ঢাকাটা হাতে নিয়ে সে রান্নাঘরের দাওয়ায় আসে। পেতলের বাটি থেকে খানিকটা দুধ তাতে ঢেলে নিয়ে উঠোনের কোণে চলে যায়।...

একটা মাটির জালার ভেতর থেকে দুর্গা এক এক করে তিনটে বেড়ালছানা বের করে তাদের দুধ খেতে দেয়।

(সংগীত মিলিয়ে যায়)।