পদ্মানদীর মাঝি

পদ্মানদীর মাঝি

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

বেঙ্গল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড

১৪বি, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০৭৩

পরিচ্ছেদসমূহ (মূল গ্রন্থে নেই)

সূচীপত্র

পরিচ্ছেদ 
 পৃষ্ঠা
 
 
 
 ১৬
 
 ৩৪
 
 ৪০
 
 ৪৮
 
 ৫৫
 
 ৬৪

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

জন্ম: ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৩১৫, ১৯ মে ১৯০৮
সাঁওতাল পরগনার অন্তর্গত দুমকা শহর।
পৈতৃক নিবাস ঢাকা, বিক্রমপুরের অন্তর্গত মালপদিয়া গ্রাম।
মৃত্যু: ১৭ অগ্রহায়ণ ১৩৬৩, ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৬
নীলরতন সরকার হাসপাতাল, কলকাতা।

গ্রন্থ-পরিচয়

পদ্মানদীর মাঝি

গ্রন্থকাররূপে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবির্ভাব জননী উপন্যাসের মাধ্যমে (মার্চ ১৯৩৫)। রচনাকালের দিক থেকে প্রথম উপন্যাস দিবারাত্রির কাব্য বঙ্গশ্রী পত্রিকার বৈশাখ থেকে পৌষ ১৩৪১ (এপ্রিল-মে ১৯৩৪ থেকে ডিসেম্বর ১৯৩৪-জানুয়ারি ১৯৩৫) সংখ্যায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়ে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় জুলাই ১৯৩৫ সালে। একই বছরে আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয় প্রথম গল্পগ্রন্থ অতসীমামী। ১৯৩৬-এর মে মাসে অপর উপন্যাস পুতুলনাচের ইতিকথা প্রকাশের পর একই বছরের ১৬ জুলাই প্রকাশিত হল লেখকের চতুর্থ উপন্যাস তথা পঞ্চম গ্রন্থ পদ্মানদীর মাঝি। প্রকাশক গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, কলকাতা। জ্যাকেটসহ গ্রন্থ এবং লেখকের নামাঙ্কিত কাপড়-বাঁধাই প্রথম সংস্করণের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪ + ২০৮, সাইজ ডবল ক্রাউন, মূল্য দেড় টাকা। প্রকাশকাল বা প্রচ্ছদশিল্পীর উল্লেখ ছিল না। প্রথম প্রকাশকালের উল্লেখ না থাকায় Bengal Library Catalogue of Books-এ নথিভুক্ত প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকায় প্রকাশক/মুদ্রক প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী গ্রন্থটির প্রকাশকাল ১৬ জুলাই ১৯৩৬ (আষাঢ় ১৩৪৩)।

 একই প্রকাশক কর্তৃক দ্বিতীয় সংস্করণের প্রকাশকাল ১ জানুয়ারি ১৯৪২ (পৌষ ১৩৪৮)। তৃতীয় সংস্করণ-সংক্রান্ত কোনাে তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি। আশ্বিন ১৩৫৫ সালে বেঙ্গল পাবলিশার্স, কলকাতা থেকে প্রকাশিত চতুর্থ সংস্করণ থেকে বর্তমান পঞ্চত্রিংশত্তম সংস্করণ পর্যন্ত উপন্যাসটি আশু বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত প্রচ্ছদসহ একই প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।

 পদ্মানদীর মাঝি গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে সঞ্জয় ভট্টাচার্য সম্পাদিত পূর্বাশা পত্রিকায় তৃতীয় বর্ষ প্রথম সংখ্যা জ্যৈষ্ঠ ১৩৪১ থেকে অষ্টম সংখ্যা মাঘ ১৩৪১ পর্যন্ত ৮ কিস্তি এবং চতুর্থ বর্ষ প্রথম সংখ্যা শ্রাবণ ১৩৪২-এর কিস্তিসহ মােট ৯ কিস্তিতে ধারাবাহিক প্রকাশিত হওয়ার পর পূর্বাশা-র প্রকাশ কিছুকালের জন্য বন্ধ থাকায় উপন্যাসটির প্রকাশও অসম্পূর্ণ থাকে এবং অবশেষে আষাঢ় ১৩৪৩-এ গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় পূর্বাশা-য় পদ্মানদীর মাঝির ধারাবাহিক প্রকাশ শুরু হওয়ার ছ-মাস পরেই ভারতবর্ষ পত্রিকায় পৌষ ১৩৪১ থেকে পুতুলনাচের ইতিকথা ধারাবাহিক প্রকাশিত হতে শুরু করে এবং বিরতিহীন ১২ কিস্তিতে অগ্রহায়ণ ১৩৪২ সালে উপন্যাসটির প্রকাশ সম্পূর্ণ হয়।

 পূর্বাশা এবং পদ্মানদীর মাঝি প্রসঙ্গে 'নব পর্যায়' পূর্বাশার প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যার (মাঘ ১৩৭০) সম্পাদকীয় 'পূর্বাশার কথা'য় পত্রিকার পূর্ব ইতিহাস বিবৃত করে সম্পাদক সঞ্জয় ভট্টাচার্য পদ্মানদীর মাঝি প্রসঙ্গে লেখেন

...তাছাড়া মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস 'পদ্মানদীর মাঝি' ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে লাগল। তিনিও তখন প্রকাশক-মহলে অনাদৃত। রােদে পুড়ে খুবই উত্তেজিতভাবে তিনি আমাদের কোন ঠিকানায় যে এসেছিলেন মনে পড়ছে না। (কেন না, মাঝে একটা সর্প-অধ্যুষিত একতলায়, সদানন্দ রােডে এবং বুদ্ধদেব বসুর প্রতিবেশী হয়ে 'গােলাম মহম্মদ ম্যানসনে' থেকে এসেছি।) মানিকবাবুর হাতে ছিল 'পদ্মানদীর মাঝি'র পাণ্ডুলিপি। প্রকাশক-পাড়া ঘুরে এসেছেন, কেউ নিতে রাজি নন। কোন এক প্রকাশক নাকি বলেছেন 'সময় হলে আপনার বাড়ি গিয়েই বই নিয়ে আসব।' শুনে আমি বললাম : "তা-ই আসতে হবে ওঁদের। কিন্তু 'পূর্বাশা'কে কি আপনি দেবেন উপন্যাসটা? জানেন ত অবস্থা! বেশি টাকা দিতে পারব না। মাত্র একশাে দিতে পারি।" তিনি রাজি হয়ে দিলেন পাণ্ডুলিপি। আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বল হয়ে বলে গেলেন "আমি লিখব—দেখবেন লিখব!" 'পদ্মানদীর মাঝি' এক সংখ্যায় বেরােতেই যাঁরা পূর্বাশার পাঠক তাঁরা মানিকবাবুর প্রশংসায় শতমুখ হয়ে উঠলেন।...

[পৃষ্ঠা ১০]

 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমগ্র সাহিত্যকর্মে প্রথমাবধি অধিকাংশ রচনার ক্ষেত্রে উৎকর্ষসাধনের অভিপ্রায়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম পাঠ গ্রন্থরূপে প্রকাশকালে কোথাও সামান্য বা কোথাও ব্যাপক সংস্কারসাধন করেছেন। এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে একই গ্রন্থের পরবর্তী সংস্করণের ক্ষেত্রেও এই পরিমার্জনের প্রয়াস লক্ষ করা যায়। পদ্মানদীর মাঝির পূর্বাশায় প্রকাশিত পত্রিকাপাঠ, গ্রন্থরূপের প্রথম সংস্করণ এবং পরবর্তী সংস্করণেও এ-জাতীয় পাঠান্তর লক্ষ করা যায়। অনুসন্ধিৎসু পাঠকের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রকাশিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র, দ্বিতীয় খণ্ডের (তৃতীয় সংশােধিত মুদ্রণ, জুন ২০০২) গ্রন্থ-পরিচয় অংশে প্রদত্ত এরূপ পাঠান্তরের কিছু তুলনামূলক নমুনা দ্রষ্টব্য।

 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রন্থসমূহের মধ্যে সর্বাধিক অনূদিত গ্রন্থ পদ্মানদীর মাঝি। বারাণসীর সরস্বতী প্রেস থেকে প্রবােধকুমার মজুমদার-কৃত একটি হিন্দি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে। একই বছর ত্রিচুর, কেরালার কারেণ্ট বুক থেকে মালয়ালম ভাষায় প্রকাশিত গ্রন্থটির অনুবাদক শ্রীরবি বর্মা এবং ধারওয়ার থেকে প্রকাশিত কানাড়ি অনুবাদটির অনুবাদক শিবানন্দ যােশি। ১৯৬৫ সালে সম্মুখসুন্দরমের তামিল অনুবাদ প্রকাশিত হয় মাদ্রাজ থেকে। গােবিন্দচন্দ্র শাহু-কৃত ওড়িয়া ভাষার অনুবাদটির প্রকাশক সাহিত্য অকাদেমি, নিউ দিল্লি, প্রকাশকাল ১৯৯৭। এছাড়া হিন্দি এবং অন্য দু-একটি ভারতীয় ভাষায় কয়েকটি অননুমতিপ্রাপ্ত অনুবাদ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।

 পদ্মানদীর মাঝি-র প্রথম ইংরেজি অনুবাদ করেন হীরেন্দ্রনাথ মুখােপাধ্যায় এবং Boatman of the Padma নামে ১৯৪৮ সালের মে মাসে বােম্বাই থেকে কুতুব পাবলিশার্স লিঃ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। ১৯৭৭ সালে নিউ দিল্লির নাশনাল বুক ট্রাস্ট থেকে অনুবাদগ্রন্থটি পুনঃপ্রকাশিত হয়। এছাড়া ইউনেসকো-র একটি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যাণ্ড প্রেস, অষ্ট্রেলিয়া থেকে বারবারা পেইনটার এবং ইয়ান লাভলক্-কৃত একটি ইংরেজি অনুবাদ Padma River Boatman প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৫৩ সালে স্টকহোম থেকে সুইডিশ ভাষায় প্রকাশিত Folk vid floden নামক একটি সংকলনে হুমায়ুন কবীর-এর 'নদী ও নারী' উপন্যাসসহ পদ্মানদীর মাঝি-র ভিভেকা বার্থেল কৃত অনুবাদ (Roddare På Padma) প্রকাশিত হয়। সুইডিশ অনুবাদ-সংক্রান্ত আরও একটি তথ্য পাওয়া যায় যুগান্তর চক্রবর্তী সম্পাদিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়েরি, চিঠিপত্র প্রভৃতির একটি সংকলনের নির্দেশপঞ্জি অংশে::: ...আন্তর্জাতিক সৌহার্দ ও মানবিক ভাবধারা প্রসারের উদ্দেশ্যে, মানুষ ও তার প্রতিবেশ বিষয়ে সুইডিশ ভাষায় রচিত একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়পাঠ্য গ্রন্থে (Över gränserna, Dcl 2. ইংরেজি নাম Across the Borders, প্রকাশক Almqvist & Wiksell, Stockholm, 1964), পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিস্থানীয় সাহিত্য থেকে নির্বাচিত রচনাংশের সঙ্গে, আধুনিক ভারতীয় জীবন ও সাহিত্যের পরিচয় হিসাবে 'পদ্মানদীর মাঝি'র একটি দীর্ঘ অংশ সংকলিত হয়েছে। Ake Isling সম্পাদিত গ্রন্থটি ইউনেস্কোর জন্য সুইডিশ ন্যাশনাল কমিশনের সহযােগিতায় প্রকাশিত হয়।

অপ্রকাশিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: ডায়েরি ও চিঠিপত্র
দে'জ পাবলিশিং, ফাল্গুন ১৩৯৬, ফেব্রুয়ারি ১৯৯০, পৃষ্ঠা ৪০৫]

 দুসান জবাভিতেল অনূদিত এবং প্রাহা-র চেসকোশ্লোভেনস্কি স্পিশােভাতেল থেকে ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত চেক অনুবাদটির নাম Plavec na rece Padmé। বুদাপেস্ট থেকে ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হাঙ্গেরিয় ভাষায় অনুবাদের নাম A Padma Hajósa, অনুবাদক কেলেমেন মারিয়া। হীরেন্দ্রনাথ মুখােপাধ্যায়ের ইংরেজি অনুবাদ অনুসরণ করে চিনা ভাষায় কুও খায় লিঅ্যান অনূদিত গ্রন্থটির একটি অনুবাদ পেইচিং থেকে পেইচিং রাইটার্স পাবলিশিং সােসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত হয় ১৯৫৬ সালের মে মাসে। ব্রাতিস্লাভা থেকে স্লোভাক ভাষায় অনূদিত গ্রন্থটির নাম Clnkár Na Rieke Padme, অনুবাদ করেছেন আনা রাকোভা ১৯৭৯ সালে। ডাচ অনুবাদ Roeier op de Padma ব্রাসেল থেকে ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত হয়, অনুবাদক হান্নেকে রিচার্ড-নাটবে। সরল সেন-কৃত জার্মান ভাষার অনুবাদ Die Fischer vom Padma বার্লিন থেকে ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয়। এছাড়া বুলগেরিয়, নরওয়েজিয়, লিথুয়ানিয় এবং রুশ ভাষাতেও পদ্মানদীর মাঝি অনূদিত হয়, যেগুলি সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য এ-পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়নি।

 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবিতকাল থেকেই পদ্মানদীর মাঝিকে চলচ্চিত্রে রূপদানের একাধিক প্রয়াস নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বাংলাদেশের আশীর্বাদ চলচ্চিত্র-এর যৌথ উদ্যোগে বাংলা ভাষায় নির্মিত পদ্মানদীর মাঝি উভয় দেশে একযােগে মুক্তি পায় ১৯৯৩-এর মার্চ মাসে। উভয় দেশের শিল্পী অভিনীত ছবিটির পরিচালক গৌতম ঘােষ। ইতিপূর্বে ১৯৫৬ সালে লেখকের জীবনাবসানের অব্যবহিত পূর্বে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্থানে পদ্মানদীর মাঝি অবলম্বনে উর্দু ভাষায় নির্মিত 'জাগাে হুয়া সবেরা'র পরিচালক হাফিজ কারদার। লেখকপক্ষের অজ্ঞাতসারেই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়।

 গ্রামােফোন কোম্পানী অফ ইণ্ডিয়া থেকে লং-প্লে রেকর্ডে রাজ্যেশ্বর মিত্র-কৃত গীতিনাট্যরূপ দিনেন্দ্র চৌধুরীর সংগীত পরিচালনায় ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত হয়। রাজ্যেশ্বর মিত্র-কৃত উপন্যাসটির একটি লােকগীতির পালারূপ দিনেন্দ্র চৌধুরীর সংগীত এবং অসিত চট্টোপাধ্যায়ের নৃত্য পরিচালনায় গ্রামীণ গীতি সংস্থা কর্তৃক ১৯৯৪ সালে মঞ্চস্থ হয়। পদ্মানদীর মাঝি-র একাধিক নাট্যরূপ একাধিক নাট্যসংস্থা কর্তৃক মঞ্চে অভিনীত হয়েছে এবং আকাশবাণীর একাধিক কেন্দ্র থেকে বেতার নাট্যরূপ প্রচারিত হয়েছে।

 লেখকের জীবদ্দশায় প্রকাশিত পদ্মানদীর মাঝি-র সর্বশেষ সংস্করণ (ষষ্ঠ সংস্করণ ভাদ্র ১৩৬১)-এর পাঠ বর্তমান সংস্করণে গৃহীত হয়েছে এবং 'বাংলা আকাদেমি বানান-বিধি'-সম্মত বানান অনুসৃত হয়েছে।

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।