পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেচে দে, হেসে কেঁদে যার যা হেথায়, সবারি কি সেই স্থান—বিশ্রাম-অ্যালয়? খোজা-খুজি, বোঝা-বুঝি নাহি পায় পায়? নাহি শ্রম, নাহি ভ্রম, নাহি শোক, ভয়? যাও তবে যাও, সখা, বিশ্রাম-অtলয়ে — কত বসন্তের গান, প্রভাতের ফুল, কত শরতের মেঘ, সমীর আকুল, গেছে—কত সুখ-স্বপ্ন, কত আশা লয়ে; গেছে, যাবে, কত মাতা, কত শিশু, নারী। তুমি যাও নিজ ঘরে, বিচ্ছেদ আমারি। রমণী-হৃদয় হৃদয় সমুদ্র মত, আকুল তরঙ্গে উছলি পড়িছে আসি, তোমা-উপকূলে। হৃদয় পাষাণ-দ্বার দেবে না কি খুলে? চির-জন্ম লুটিব কি ওই ভুরু-ভঙ্গে? কি রহস্তে মগ্ন তুমি, রমণী-হৃদয়। এত ভাবে, এত শ্বাসে, এতেক ক্রেন্দনে, এত স্পর্শে, এত বর্ষে, এতেক বন্ধনে, জগতের কত রাজ্য হ’তে যে বিলয়। কি রহস্তে মগ্ন তুমি, রমণী-হৃদয়। এক রবি, এক শশী, মাথার উপরি,— আকুঞ্চনে, বিকুঞ্চনে আমি হাহা করি, তুমি ধীর, স্থির,–যেন কোথায় কি হয়। হবে না এ দুটি প্রাণ এক নিয়মের? পাশ-পাশি, আসা-আসি,—কি অদৃষ্ট ফের?