পাতা:অক্ষিতত্ত্ব.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ অশ্রুপথ সকলের রোগ সমুহ। কিউলেরিজের কণ্ডরাও দ্বিখণ্ডিত করিতে হয়। তৎপরে ম্যানফিডি সাহেব এই বিদারিত স্থানের মধ্যে একটা স্পেকিউলম প্রবেশিত করিতে বলেন, এবং সযত্বে থলি মধ্য হইতে সমুদায় রক্ত ও ক্লেদ পরিষ্কৃত করিয়া ফেলিতে হয়। তৎপরে উক্ত স্থানে ক্লোরাইড অব য়্যানটিমনী লেপিত করা বিধেয়। এক্ষণে একখণ্ড অনান্দ্র লিণ্ট এই গহবর মধ্যে সন্নিবেশিত করিয়া, তদুপরি পোলটিস সংলগ্ন করিতে হয় 1 এইরূপ করিবার তাৎপর্য্য এই যে, ইহাতে থলি বিনষ্ট ও বিচ্যত হইয়া যায়; এবং ভণহী ন হইলে, এই রোগ, নির্দেশষে ও চিরকালের নিমিত্ত নিরাময় হয় না। অশ্রথলি এই রূপে বিগলিত হইলেও কখনই একটা খাত অশ্রীপ্রণালীকে নাসা প্রণালীর সহিত সংযুক্ত করিয়া রাখে। ম্যানচেষ্টার নগরীয় মিটার উইগুলোর সাহেবের মতে অশ্রথলিকে উল্লিখিত রূপে অনাবৃত করতঃ, তন্মধ্যে একখণ্ড অনণন্দ্র লিন্ট দুই দিবস পর্য্যন্ত সন্নিবিষ্ট রােখ। অপেক্ষাকৃত শ্রেয়ঃ উপায়। তৎপরে উহাকে অপনীত ও থলির প্রাচীরচয়কে উত্তমরূপে পরিষ্কৃত করিয়৷ তদীর্ভ মধ্যে ক্লোরাইড়। অব জ্বিনক পেষ্ট সমন্দ্রি লিন্ট অনবরতঃ দুই দিবস কাল পর্যন্ত অবস্থিত রাথিতে হয়। পরিশেষে লিটকে বহিস্কৃত করিয়া, তথায় অত্র বস্ত্র সংলগ্ন করাই সদ্ব্যবস্থা। কিছু দিনের মধ্যেই থলি বিগলিত হইয়া যায়, এবং ক্ষত সত্বর পূর্ণ হইয়। আরোগ্য লাভ করে। ৩। পরিশেষে, অশ্রথলির নালী উপশমার্থে অশ্রু গ্রন্থি নিষ্কাশিত করিয়া, মিষ্টার জে. জেড় লরেন্স সাহেব সম্পূর্ণ কৃতকার্য হুইয়াছেন।” অশ্র-থলির নালী ও অবরোধ নিরীকরণার্থে মিষ্টার ব্যে ম্যান সাহেব নাসীপ্রণালী প্রসারিত করিয়া থাকেন; কিন্তু তদুপীয় অবলম্বন করিয়া কৃতকর্ষ্যে হওয়া যায় না। আমি অনেক স্থলে মিস্টার উইণ্ডসের সাহেবের মতবত্তী হওতঃ অশ্রথলি বিনাশিত করিযাছি; এবং যখন তদৃশর রোগোপশমিত হইল না বলিয়া বোধ হইয়াছে, তখন অশ্রু গ্রন্থি নিষ্কাশিত করিতে কিঞ্চিম্মাত্রও বিলম্ব করি নাই। অশ্র থলির পুরাতন প্রদাহ —অশ্রথলির পুরাতন প্রদাহ সচরাচর ঘাটয় থাকে। সচরাচর অন্তরীবরক ঝিল্লীতে (Lining membrane) নাভি প্রবল প্রদাহ উপস্থিত হইয়া উহা আবিভূত হয়। কিন্তু তজনিত উত্তেজনা ক্যানলিকিউলস এবং নসর্গপ্রণালী পর্য্যন্ত প্রস্থত হইয়া, তাহাদিগকে স্ফীত ও অবৰুদ্ধ করে; এবং শ্লেষ্মা (mucous) পূর্ণ হইয থলি কিয়ৎ পরিমাণে আয়তপরিসর হইয় পড়ে। এই সকল অবস্থায় থলির উপর প্রতিচাপ প্রদান করিলে, সচরাচর পংটা হুইতে এক প্রকার • ophthalmic Review, vol. iii. p. 13s.