পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 '; আহুতির প্রকরণ:::: ৩৯, কোথায় কিরূপ আহুতি কার্য্য হইতেছে তাহার বিস্তারিত বিবরণ মুদ্রিত হইয়া প্রকাশিত হওয়া উচিত। কিন্তু ইহা অতি গুরুতর ব্যাপার। যদি ভারতের সৌভাগ্য উদয়ের পূর্ব লক্ষণ কিছু প্রকাশ হইয়া থাকে তবে, ঐ কার্য্য সাধনের উপযােগী ক্ষমতাশালী লােকের অভাব হইবে না। ধর্মাত্মা রাজা যুদ্ধিষ্ঠির একদা ভীষ্মদেবকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “পিতাম, বেদঅধ্যয়নের ফল কি?” ইহার উলুরে ভীষ্মদেব রলিয়াছিলেন, “বেদ অধ্যয়নের ফল অগ্নিহােত্র।” অর্থাৎ বেদবিৎ 'গুরুর নিকট যথা নিয়মে বেদ অধ্যয়ন করিলে, অগ্নিহে!ত্রে অনুরাগ জন্মে এবং তাহাতে ব্রতী হইতে হয়। যে ব্যক্তি বেদ অধ্যয়ণ করিয়া অগ্নিহােত্রী না হয় তার বেদ অধ্যয়ন নিস্ফল হইয়া থাকে। আর যে ব্যক্তি বেদ অধ্যয়ন না করিয়াও অগ্নিহােত্রী হইতে পারেন, তাহার বেদ অধ্যযুনের ফল লাভ হয়। ফলতঃ অগ্নিহোত্র এবং যাগ-যজ্ঞের রীতি-নীতি শিক্ষার জন্যই প্রধানত বেদের উদ্ভব হইয়াছে বলিতে হইবে। যদি কেহ এরূপ প্রশ্ন করেন যে, যাগ-যজ্ঞ অগ্নিহােত্র বা অগ্নিতে আহুতি অৰ্পণ যদি এতই কল্যাণকর এবং করণযোগ্য, তাহা হইলে, বুদ্ধ, নানক, রামানন্দস্বামী, কবীর, তুলসীদাস, শ্রীচৈতন্য প্রভৃতি মহাপুরুষেরা ইহার অনুষ্ঠান করেন নাই কেন, এবং ই করিতে লােক সকলকে উপদেশই বা কেন দিয়া খান নাই? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বড়ই কঠিন। তবে পরমহংস শিবনারায়ণ স্বামী এ সম্বন্ধে যাহা বলিয়া গিয়াছেন তাহাই এস্থলে লিখিত হইল:“যিনি যে পথ অবলম্বন এবং সাধন করিয়া মুক্ত হন বা অমৃতত্ব লাভ করেন তিনি সেই পথের কথা উত্তমরূপে কহিতে বা উপদেশ দিতে In