পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r

• - - । ॥ T ৫

  • '।

| . । 1 | | ২ -", অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ। . . . * বৈজ্ঞানিকগণ যন্ত্রশক্তি বলে চুম্বকাদি ঘর্ষণ দ্বারা যে বৈদ্যুতাগ্নি বাহির করিয়া বহুবিধ কার্য্যে ব্যবহার করেন, ঐ অগ্নিকে স্কুল-সূক্ষ্ম বলা যাইতে পারে। করেন উহা পার্থিব অর্থাৎ পৃথিবী জাত পদার্থ হইতে উৎপন্ন এবং, কখন গতিশীল ও কখন গতিরুদ্ধ বলিয়া স্কুল-সূক্ষ্ম নামে অভিহিত করা যাইতে পারে। সে যাহা হউক, ফলতঃ এক কারণ অগ্নিই অবস্থা ভেদে স্বর্গে মর্ত্তে বহুরূপে এবং বহু বিভিন্ন গুণের সহিত প্রকাশিত হইতেছেন। উপনিষদে উক্ত আছে –“একং অগ্নি ভুবনে প্রবৃষ্ট রূপং রূপং প্রতিরূপং বভূবঃ।” (অর্থ—“একই অগ্নি ভুবনে প্রবৃষ্ট হইয়া বহু বিভিন্ন রূপে এবং বহু বিভিন্ন প্রতিরূপে প্রকাশিত হইতেছেন। - কারণ অগ্নি আমার সম্মুখে আমার পশ্চাতে আমার উর্দ্ধে আমার নিম্নে, সংক্ষেপে বলিতে গেলে আমার দশদিকে পরমাত্মার সহিত যুক্ত হইয়া সর্ব্বদা বৰ্তমান রহিয়াছেন। কারণাগ্নি যদি ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্রে বর্তমান না থাকিতেন তাহা হইলে, মহাকাশের যত্রতত্র উল্কাপাত, সৌদামিনীর ( তড়িৎ বা বিদ্যুৎ প্রকাশ, মহাসাগর গর্ভে বাড়বানল, নিবিড় বনে দাবানল এবং অমােদের মস্তকোপরি অগণ্য গ্রহ তারা নক্ষত্র রূপে দৃষ্ট হইতেন না বা হইতে পারিতেন না। . অগ্নিতত্ত্বের আরও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা এই,-এক সর্ব্বব্যাপী কারণ অগ্নি হইতেই অবস্থা ভেদে অর্থাৎ আঘাত, ঘর্ষণ, উত্তেজনা এবং পরমাত্মা ব্রহ্মের ইচ্ছাশক্তির তারতম্যানুসারে মহাসাগর গর্ভে বাড়বানল, নিবিড় বনে দাবানল, আকাশে চন্দ্রমা সূর্য্যনারায়ণ এবং অগণ্য নক্ষত্রাদি: জ্যোতিষ্ক, আর তৈল কাষ্ঠ অঙ্গারাদি দগ্ধকালে নানা ক্ষুদ্র বৃহদাকারের লুল-সূক্ষ্ম অগ্নি রূপের উৎপত্তি বা প্রকাশ। বৈজ্ঞানিকগণ চুম্বকাদি ঘূষণ দ্বারা বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাদি সাহায্যে) যে তড়িৎকণা ( electron) . তড়িৎ তরল (electric fluid) তড়িৎ পুঞ্জ (electric sparks) ৭

- |