পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

— - পরিশিষ্ট হইয়া কিম্বা পৃথক স্ব স্ব গৃহে বসিয়া অগ্নি ব্রহ্মে মৃত আদি সুস্বাদু সুগন্ধি শ্রব্য আহুতি দিলে তাহাতে ব্রাহ্মণগণ কোন প্রকার প্রতিবন্ধকারণ করিবেন না বা কোন প্রকার বিঘ্ন ঘটাইবেন না। কারণ যাহাতে জগতের মঙ্গল এবং শান্তি তাহাতে ব্রাহ্মণগের কোন প্রকার প্রতি কুলাচরণ করা উচিত নহে। ইহাত শাস্ত্রজ্ঞ জ্ঞানবানগণ সকলেই জানেন যে, জগতের মঙ্গল কামনা করাই ব্রাহ্মণ বা ঈশ্বরভক্তগণের সনাতন বা পরম ধর্ম্ম। ইহাতে ব্রাহ্মণগণ অবশ্যই বলিবেন যে, তাহা হইলে, সনাতন বর্ণাশ্রম ধর্ম্ম লােপ হইবে, সব একাকার হইয়া যাইবে; অশান্তির সীমা। থাকিবে না এবং ভগবান কল্কির অবকার সন্নিকট হইয়া পড়িবে। কিন্তু ভয় নাই তাহা হইবে না। কারণ যে কেহই অনুষ্ঠান করুক শুভ কর্ম্মের ফল কখনও অশুভ হইতে পারে না। যে কর্ম্মের যে ফল নির্দিষ্ট আছে প্রকৃতির অচ্ছেদ্য নিয়মে তাহা ফলিবেই। বিষ ভক্ষণ করিলে ব্রাহ্মণ শূদ্র প্রভৃতি সকলেই মরিবে, অমৃত সেবন করিলে সকলেই বাঁচিয়া যাইবে। দেখুন যাহাকে আপনার ম্লেচ্ছ দেশ বলিতেছেন, সেই দেশের লোকদিগের দ্বারা প্রস্তুত এলােপ্যাথি, হােমিওপ্যাথি ঔষধ সেবন করিয়া এদেশের ব্রাহ্মণ শূদ্র সকলেই সমান উপকার প্রাপ্ত হইতেছেন, ম্লেচ্ছদেশ জাত বলিয়া ব্রাহ্মণেরা তাহা পরিত্যাগ করিতে পারিতেছেন না। সুবিখ্যাত ভট্টপল্লীর ব্রাহ্মণগণও . হােমিওপ্যাথি ঔষধ সেবনের পক্ষপাতী হইয়াছেন। যদি পরমেশ্বরের অর্থাৎ সূর্য নারায়ণের প্রিয় কার্য্যে সকলে রত থাকে, সব একাকারেও কোন ভয় নাই বরং এই কলিযুগেই সত্যযুগের আবির্ভাব সম্ভাবনা। যদি কেহ বলেন কলিযুগে কি কখনও সত্যযুগের আবির্ভাব হইয়াছে? অনেকবার হইয়াছে। ভূষণ্ডীকাকের মুখের বাণী পাঠ করুন।