পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। । অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ হিংসাবহুল যাগ-যজ্ঞাদির বিষয় চিন্তা বা বিচার করিয়া কলিযুগের ধর্ম্ম সংস্কারক মহাপুরুষের আংশিক উচ্ছিষ্ট, আংশিক অপবিত্র; অনেক প্রকার বৈদিক ক্রিয়া কাণ্ড অসাধ্য ও অশ্রেয়কর বােধে কেহ সম্পূর্ণরূপ, কেহ কেহ অনেকাংশে, এবং কেহ কেহ বেদশাস্ত্রকে প্রায় পরিত্যাগ করিয়াছেন। বুদ্ধদেব আদৌ বেদ মানেন নাই। গুরু নানক, রামানন্দস্বামী এবং শ্রীচৈতন্য প্রভৃতির ধর্ম সংস্কারক মহাপুরুষেরা বেদের সার এবং সারাৎসার-পরাৎপর তত্ত্ব গ্রহণ করিয়াছেন মাত্র। জগৎগুরু মহাদেব এবং অদ্বৈত বাদ প্রচারক শঙ্কর স্বামী ( আচার্য) বেদ সমুহের কোন কোন অংশ মাত্র গ্রহণ করিয়া তন্ত্রাদি শাস্ত্র কলিযুগের মনুষ্যগণের উপমােগী করিয়া রচনা করিয়াছিলেন। কিন্তু কলিযুগের সকল শাস্ত্রই বেদমূলক। অর্থাৎ বেদ হইতেই ঐ সকল শাস্ত্রের মূল বা সারসংগ্রহ করিতে হইয়াছে। সুতরাং সর্ব্বশাস্ত্রের জননী, আদিম, বিরাট ধর্ম্ম জ্ঞানের আকর, অতি শ্রদ্ধেয় বেদশাস্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা হইতেই পারেনা। বেদশাস্ত্রের গুরুত্ব চিরকালই মানিতে হইবে এবং বেদশাকে সযত্নে রক্ষা করাও কর্তব্য। যাহাদের সংস্কৃত বিদ্যায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি এবং প্রচুর সময় আছে ও অন্নচিন্তা নাই, তাহারা বেদপাঠ-বেদচর্চা করিয়া শ্রেয়স্কর সার জ্ঞান লাভ করুন এবং সেই জ্ঞান অপর সকলকে বিতরণ করিতে থাকুন, তাহাতে কোন নিষেধ নাই, বরং মঙ্গলই আছে। কিন্তু বেদ পাঠ না করিয়াও যদি বেদের সার এবং সারাৎসার-পরাৎপর তত্ত্ব অন্য কোনও প্রকারে বিদিত হওয়া যায়, এবং তাহাতে নিষ্ঠা জন্মে, তাহা হইলে, বেদ পাঠের কোনই প্রয়ােজন থাকে না। | বেদ বেদান্ত সমূহের সারাৎসার-পরাৎপর এবং সারতত্ত্ব;-পরমাত্মা, অগ্নিব্রহ্ম, অহিংস্য যজ্ঞ বা অগ্নিহােত্র, ওঁকার এবং সপ্রণব গায়ত্রী । .।