পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২। অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ। এখন শূদ্রগণ বিদ্বান হইয়াছেন এবং নানা শাস্ত্রদশী হইতেছেন। অতএব এখন ব্রাহ্মণ শূদ্র সকলেই বিচার পূর্বক অধিকার অনধিকার নির্ণয় করিয়া নিব্বৈরভাবে ধর্মসাধন এবং কাল যাপন করিতে থাকুন, যাহাতে জগতে শান্তি স্থাপিত হয়। এস্থলে আর এককথা বলা উচিত। এখন শূদ্রগণ ব্রাহ্মণােচিত অগ্নিহােত্রাদি শুভ কৰ্ম করিলেই যে ব্রাহ্মণ হইয়া যাইবেন বা ব্রাক্ষণ সমাজে প্রবেশ লাভ করিবেন তাহা সম্ভব নহে। এখন শূদ্রগণ ব্রাহ্মণণাচিত কর্ম্ম করিলেও শূদ্রই থাকিবেন। কারণ শূদ্রগণের উপনয়ন সংস্কার হইবে না; এবং তাঁহারা ব্রাহ্মণ সমাজের সমস্ত আচার ব্যবহারও সম্পূর্ণরূপে পালন করিতে পারিবেন না; সুতরাং ভঁহাদিগকে সুদীর্ঘ কাল শূদ্রই থাকিতে হইবে। তবে অগ্নিহােত্রাদি শুভকর্ম্ম দ্বারা ক্রমশঃ তাহাদের অবস্থার উন্নতি হইতে থাকিবে। এখন যিনি যে জাতিতে আছেন তিনি সেই জাতিতে থাকিয়া উক্ত শুভ কার্য করিতে থাকুন। যাঁহারা শূদ্র হইতে বৈশ্য কিম্বা ক্ষত্রিয় এবং এক জাতি হইয়। অন্য উন্নত জাতিতে যাইবার জন্য ব্যগ্র হইতেছেন এবং বাইতেছেন তাহারা যেন এখন ভ্রান্ত পথে চলিতেছেন বলিয়া বিবেচিত হয়। বিনা মঙ্গে আহুতিদিবার প্রকরণ—যাহারা বিনা মন্ত্রে আহুতি দিবেন, তাহারা পূৰ্বোল্লিখিত আহুতি দ্রব্য যৎকিঞ্চিং যাহা আহরণ করিবেন তৎ সমস্ত অগ্নিকুণ্ডের নিকট স্থাপন করিয়া অগ্নি প্রজ্বলিত পূর্ব্বক ভক্তি শ্রদ্ধা সহকারে এই কথা বলিবেন, “মাজগজ্জননী? এই যৎকিঞ্চিৎ যাহা আহরণ করিতে পারিয়াছি, আপনি কৃপা করিয়া আহার করুন। এই বলিয়া অল্প অল্প করিয়া স্নেহময়ী জননী যেমন আপন শিশু সন্তানকে এবং প্রিয়জন যেমন প্রিয়জনকে আদর সহকারে আহারীয় দ্রব্য মুখে তুলিয়া দেয় সেইরূপে জগজ্জননীকে আহার করাইবেন। এইরূপে -