পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্টের পরিশিষ্ট ৭৩ তাঁহার আহার শেষ হইলে, কিঞ্চিৎ পরিস্কার স্বচ্ছজল প্রজ্বলিত অগ্নির উপর নিক্ষেপ করিয়া ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ অথবা কেবল শাস্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ উচ্চারণ করিয়া আহুতি সমাপন করিবেন। যদি মন্ত্র ( প্রণব কিম্বা সপ্রণব গায়ত্রী) গ্রহণ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে আহুতির পর তাহা যথাসাধ্য জপ করিবেন। আহুতির পরে অগ্নি ব্রহ্মের সম্মুখে ইষ্টমন্ত্র জপ করিলে বিশেষ ফল লাভ হয়। আহুতি দিধার পূর্বে জগজ্জননী অগ্নি ব্রহ্মের নিকট এইরূপ নিবেদন করাও উচিত,‘জগজ্জননী! এই যৎকিঞ্চিৎ অতি দ্রব্য মধ্যে যদি কিছু . অমেধ্য বা দূষিত পদার্থ থাকে, আপনি কৃপা করিয়া শুদ্ধ করিয়া লউন। শাস্ত্রে লেখা আছে, আপনার শিখা সংস্পর্শে মহা অপৰাত দুষ্ট পদার্থ শুচি এবং পবিত্র হইয়া যায়। অতি অপবিত্র বস্তুকে পবিত্র করিতে আপনার তুল্য আর কেহই নাই। অগ্নি ব্রহ্মে আহুতি দিবার পূর্বে এবং আহুতির শেষে আহবান ও বিসর্জনের মন্ত্র পাঠ করিবার বিধি আছে। আহ্বান মন্ত্র যথা:~~ “ওঁ আয়াহি বরদেদেবি এক্ষরে ব্রহ্মবাদিনি। গায়ত্রি ছন্দসাং মাতব্রহ্মযোনি নমােহস্তুতে।” বিসর্জন মন্ত্র যথা: “ওঁ উত্তরে শিখরে জাতে ভূম্যাং পর্বতবাসিনি। ব্রহ্মণ মনুজ্ঞাতা গচ্ছ দেবি যথেচ্ছয়া”। (অথবা গুচ্ছ দেবি যথা সুখং।) পরমহংস স্বামীর মত এই, উক্ত মন্ত্রদ্বয় পাঠ না করিলেও এখন কোনও দোষ বা অপরাধ হইবে না। এখন হইতে ভক্তি প্রতি এবং শ্রদ্ধার সহিত আহুতি অর্পিত হইলেই কার্য্য সিদ্ধ হইবে। অর্থাৎ অগ্নি -