পঞ্চক। দোহাই তোমাদের, একেবারে চলে যেয়ো না। ওই শব্দগুলো আওড়াতে আওড়াতে মাঝে মাঝে বুদ্ধিমান জীবের মুখ দেখলে তবু আশ্বাস হয় যে জগৎটা বিধাতা পুরুষের প্রলাপ নয়।
জয়োত্তম। না হে, মহাপঞ্চক বড়ো রাগ করেন। করেন, তোমার যে কিছু হচ্ছে না তার কারণ আমরা।
পঞ্চক। আমি যে কারও কোনো সাহায্য না নিয়ে কেবলমাত্র নিজগুণেই অকৃতার্থ হতে পারি দাদা আমার এটুকু ক্ষমতাও স্বীকার করেন না এতেই আমি বড়ো দুঃখিত হই। আচ্ছা ভাই তোমরা ওইখানে একটু তফাতে বসে কথাবার্তা কও। যদি দেখ একটু অন্যমনস্ক হয়েছি আমাকে সতর্ক করে দিয়ো। স্ফট স্ফট স্ফোটয় স্ফোটয়—
জয়োত্তম। আচ্ছা বেশ, এইখানে আমরা বসছি।
সঞ্জীব। বিশ্বম্ভর, তুমি যে বললে এবার আমাদের আয়তনে গুরু আসবেন সেটা শুনলে কার কাছ থেকে?
বিশ্বম্ভর। কী জানি, কারা সব বলাকওয়া করছিল। কেমন করে চারিদিকেই রটে গিয়েছে যে চাতুর্মাস্যের সময় গুরু আসবেন।
পঞ্চক। ওহে বিশ্বম্ভর, বল কী? আমাদের গুরু আসবেন নাকি?
সঞ্জীব। আবার পঞ্চক! তোমার কাজ তুমি করো না!
পঞ্চক। ঘুণ ঘুণ ঘুণাপয় ঘুণাপয়—
জয়োত্তম। কিন্তু অধ্যাপকদের কারও কাছে শুনেছ কি? মহাপঞ্চক কী বলেন?
বিশ্বম্ভর। তাঁকে জিজ্ঞাসা করাই বৃথা। মহাপঞ্চক কারও প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সময় নষ্ট করেন না। আজকাল তিনি আর্যঅষ্টোত্তরশত নিয়ে পড়েছেন—তাঁর কাছে ঘেঁষে কে।