পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৪ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান জগদ্ধাত্রী পূজা সম্পাদন করিত এবং বহু লােককে নিমন্ত্রণ করিত। এইজন্য, ব্রহ্মানন্দ স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া এই সকল কার্য্য করাইয়াছিল। ব্রহ্মানন্দ একদিকে নিজে সৰ্বত্যাগী স্ত্রী, পুত্র, বিষয়-সম্পত্তি সমস্ত ত্যাগ করিল, কিন্তু অপরদিকে আমাদের প্রতি তাহার কি আন্তরিক টান। স্বামিজীর যখন যে জিনিষটী করিতে ইচ্ছা হইত—বলিত, “রাখাল, আমার এই জিনিষটা ক’রূতে ইচ্ছে।” স্বামিজী দেহত্যাগের পূর্বে ব্রহ্মানন্দকে বলিয়াছিল, “রাখাল, আমার শরীর ভাল নয়। আমি শীগগীর দেহত্যাগ করবাে, তুই আমার মা’র ও বাড়ীর বন্দোবস্ত করে দিস। তাকে তীর্থ দর্শন করা। তাের ওপর এইটী ভার রইল।” এইজন্য, ব্রহ্মানন্দ অনবরত হাইকোর্টে যাইয়া ও কঠোর পরিশ্রম করিয়া আমাদের জ্ঞাতিদিগের সহিত বিবাদ বিসম্বাদ মিটাইয়া দিল ; গৌরমােহন মুখার্জি খ্রীটে মা'র বাসভূমি স্থাপন করিয়া দিয়াছিল এবং স্বামিজীর দেহত্যাগের অল্পদিন পরেই নিজে দাড়াইয়া সমস্ত বন্দোবস্ত করিয়া তাহাকে পুরীধাম দর্শন করাইয়াছিল। ব্রহ্মানন্দের নিকট স্বামিজীর আদেশ শিরােধার্য। ছিল, স্বামিজীর আদেশ সে বর্ণে বর্ণে পালন করিয়াছিল। এখন সকলেই প্রায় চলিয়া গিয়াছেন, আমারও বয়স অধিক হইয়াছে, এইজন্য এখন আর কোন কথা গােপন রাখিবার আবশ্যক নাই। ব্রহ্মানন্দ মঠে একবার গাছে একটা লেবু দেখিয়া অপূর্ণ -