পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৯৫ নয়নে আক্ষেপ করিয়া বলিল, “স্বামিজী নিজে গাছটী পুতেছিল, অপর সকলে ফল খাচ্ছে!” এই বলিয়া সে বিমনা ও বিহ্বল হইয়া পড়িল। এক সময়ে কোন ব্যক্তি মঠে দাড়াইয়া স্বামিজীকে অতিশয় গালি দিয়াছিল। দিনটা ছিল রবিবার, স্নানযাত্রার দিন, প্রাতঃকাল। ব্রহ্মানন্দ তখন পুরীতে। হরি মহারাজ ঐদিন মঠ হইতে রওনা হইয়া পুরীতে গিয়াছিলেন এবং ঐ সকল কথা ব্রহ্মানন্দকে বলিয়াছিলেন। আমিও পরের রবিবারে বাড়ী হইতে রওনা হইয়া সােমবার দিন পুরীতে পোঁছাই। ব্রহ্মানন্দ সক্রোধে আমায় জিজ্ঞাসা করিল, “* * * 'কে কেমন দেখলে ?” আমি বলিলাম, “একটু Nervous ( নাভাস) হয়েছে।” ব্রহ্মানন্দ আমায় বলিল, “তুমি ভদ্রলােক, সব কথা চেপে যাচ্ছ, আমি সমস্ত শুনেছি!” —এই বলিয়া সেই ব্যক্তিকে গালি দিল। ব্রহ্মানন্দ তাহার প্রতি এইরূপ বিরক্ত হইয়াছিল যে সর্বদাই তাহাকে তিরস্কার ও ভৎসনা করিত। ব্রহ্মানন্দ স্বামিজীর প্রতি নিন্দা বা কুৎসা একেবারেই সহ্য করিতে পারিত না। স্বামিজীর প্রতি ব্রহ্মানন্দের কি অগাধ ভালবাসা ও শ্রদ্ধা-ভক্তি ছিল এই সকল উপাখ্যানগুলি হইতে তাহা বিশেষভাবে প্রতীয়মান হয়। এই সকল গুণগুলি নিষ্ঠাবান্ মহৎ চরিত্রের লক্ষণ। ব্রহ্মানন্দের ব্যক্তিগত প্রভাব। একদিন ব্রহ্মানন্দের সহিত আমার কথা হইতেছিল।