পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

= 1 ১০০ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ব্রহ্মানন্দ সকল বিষয়ে সামঞ্জস্য রাখিয়া একভাবেই কার্য্য করিত এবং তাহার কি তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা ছিল, তাহার নিদর্শন হইল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রসারণ। ব্রহ্মানন্দের কার্য্যের দক্ষতার বিষয় বলিতে হইলে, প্রথমে, বেলুড় মঠের ট্যাক্স (Tax) কমাইবার জন্য যে মামলা হইয়াছিল, তাহা উল্লেখযােগ্য। তখন হাওড়া ভিন্ন জেলা হয় নাই, এইজন্য হুগলী কোর্টে এই মামলা হয়। এই মামলা বালি মিউনিসিপ্যালিটির সহিত হইয়াছিল। অবশেষে বেলুড় মঠের জিত হইল। ধর্ম্মস্থানে ট্যাক্স লাগিবে না, ইহাই স্থিরীকৃত হইল। এই মামলা পরিচালনায় ব্রহ্মানন্দের বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা বিশেষরূপে প্রকাশ পাইয়াছিল। যদিও প্রথমে অনেক খরচ ও পরিশ্রম হইয়াছিল, কিন্তু ইহা হইতে চিরকালের একটী নজির হইয়া রহিল ; সেইজন্য, কাশী, কখল প্রভৃতি মঠে ট্যাক্স দিতে হইত না। ১৯০০ খৃষ্টাব্দে, কাশীর সেবাশ্রমের প্রথম সূচনা হয়, তখন ইহ জনসাধারণের হাতে ছিল। ১৯০২ খৃষ্টাব্দে, ইহা মিশনের হাতে আসিল। ব্রহ্মানন্দ ইটালীর উপেন্দ্র দেবের নিকট হইতে সেবাশ্রমের জন্য কিছু টাকা যােগাড় করিয়াছিল। বৃন্দাবনে সেবাশ্রম প্রতিষ্ঠার সময়ও উপেন্দ্র দেব কয়েক শত টাকা দিয়াছিল। কাশীর সেবাশ্রমের একটা কর্ম্মী টাকা ভাঙ্গায়, পুলিশের হাতে পড়িয়াছিল। মামলা হইলে ব্রহ্মানন্দকে সাক্ষী দিতে যাইতে হইয়াছিল। কাশীর সেবাশ্রম