পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ১০২ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান এমন সময় সেই ব্যক্তি আসিয়া ব্রহ্মানন্দকে ‘রাখাল’ বলিয়া ডাকিয়া তাহাকে তাঁহার নিজ অর্থ ব্যয়ের কারণ বলিয়া, নানাপ্রকার রূঢ় ও কটু কথা বলিতে লাগিলেন এবং প্রদত্ত অর্থ ফেরৎ চাহিলেন। আমি শুনিয়া মনে মনে বড় বিরক্ত হইলাম, কিন্তু মুখে কিছু বলিলাম না। দেখিলাম, ব্রহ্মানন্দ এইরূপ রূঢ় বাক্য শুনিয়াও কোনরূপ চাঞ্চল্য প্রকাশ করিল । অবশেষে, সেই লােকটী চলিয়া যাইলে, আমি বলিলাম, “ওর টাকা ফেরৎ দাও, আমি নিজে গিয়ে, বাড়ীতে বাড়ীতে ঘুরে, আশ্রমের জন্য টাকা তুলবে। ওরকম লােকের টাকা নেবার দরকার নেই।” আমরা কি করিব, এইরূপ জল্পনা হইতেছে, এমন সময় কনখল হইতে কল্যাণানন্দ চিঠি লিখিল যে, শ্রীমৎ স্বামী মদননাথজীর আদেশক্রমে, শ্রীযুত ভজনলাল লােহিয়া নামক এক ভদ্রলােক দুইজন মাড়ােয়ারী ভদ্রলােককে বলিয়া, সমস্ত খরচ যােগাড় করিয়া দিবার ইচ্ছা করিয়াছেন। এইরূপে কখলের গােলমাল মিটিয়া যায়। ইহা বিশেষ করিয়া জানিবার বিষয় যে, ব্রহ্মানন্দ কোন বিষয়ে চাঞ্চল্যভাব বা বাহিক কোন উদ্বিগ্নভাব প্রকাশ করিত না। মহাসমুদ্রে এক খণ্ড পাথর ফেলিলে যেমন উহা অতল তলে চলিয়া যায়, তেমনি এইসব অশান্তিকর ঘটনা যেন তাহার বিশাল চিত্তের কোথায় চলিয়া যাইত। হরি মহারাজ ১৯০২ খৃষ্টাব্দে, আমেরিকা হইতে ফিরিয়া