পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০৪ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান পর্যবেক্ষণে পরিচালিত হইত। আর্ত্তত্রাণ ব্যাপারে সারদানন্দ অতি দক্ষতা ও নিপুণতার সহিত কার্য্য করিয়াছিল; অবশ্য, ব্রহ্মানন্দ অর্থ সংগ্রহ বিষয়ে বিশেষ সহয়তা করিত। এইরূপে, বাঙ্গালা, বিহার প্রভৃতি ভারতবর্ষের নানাস্থানে আৰ্তত্রাণ-কার্য্য চলিতে লাগিল। ইহা যেন রামকৃষ্ণ মিশনের বিশেষ লক্ষণ হইল। কার্য্য বিভাগ করিয়া লওয়ায়, রামকৃষ্ণ মিশনের কার্য-প্রণালী সুশৃঙ্খলভাবে চলিতে লাগিল; অর্থ সমাগমও হইতে লাগিল। স্বামিজীর কালে মঠে প্রভূত অর্থাগম হইত, আহার্য্য দ্রব্যাদিও যথেষ্ট পরিমাণে আসিত ; কিন্তু সহসা স্বামিজীর তিরােধান হওয়ায় এই সকল বন্ধ হইয়া যায়। স্বামিজীর দেহত্যাগের পর, দুই তিন বৎসর পর্যন্ত অতি ক্লেশে মঠ চলিয়াছিল; কিন্তু ব্রহ্মানন্দের প্রাধান্য স্থাপিত হইলে, অর্থাৎ তাহার সুনাম হইলে এবং জনসমাজ তাহার কার্য-কুশলতার পরিচয় পাইলে, প্রভূত পরিমাণে অর্থাগম হইতে লাগিল; আহার্য্য দ্রব্যাদিও বহুল পরিমাণে আসিতে লাগিল। এইরূপে ব্রহ্মানন্দ নিজের শক্তিবলে মঠ ও মিশনের শ্রীবৃদ্ধি সাধন করিয়াছিল। সকলেই এক মনে দ্বিধাশূন্য হইয়া তাহার নেতৃত্ব স্বীকার করিয়া লইয়াছিল। ব্রহ্মানন্দের নেতৃত্বে এবং সারদানন্দ প্রভৃতির সহযগিতায় নানাস্থানে কেন্দ্র স্থাপিত হইতে লাগিল। নানাস্থানে কেন্দ্র-স্থাপনে সফলতার মূল কারণ হইল - কার্যে সকলের এক প্রাণ, এক উদ্দেশ্য। ব্যক্তিত্ব ও প্রাধান্য কেহই চাহিত না। সকলেরই