পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০৬ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান এবং অপেক্ষাকৃত বড়। ব্রহ্মানন্দের নখ ছিল সাদা রঙের, তাহাতে মুক্তার মত ‘জলুস’ ছিল না। স্বামিজীর মুখ ছিল গােল, ‘পুরুষ্ট’ – যাহাকে বলে ‘শৈব মুখ। ব্রহ্মানন্দের মুখ ছিল গােল, কিন্তু অপেক্ষাকৃত চ্যাপটা - শাক্ত মুখ। . স্বামিজীর ঠোট ছিল পাতলা এবং স্বামিজী উহা ইচ্ছামত দৃঢ় করিতে পারিত। ব্রহ্মানন্দের ঠোঁট অপেক্ষাকৃত পুরু ছিল এবং ইচ্ছামত দৃঢ় করিতে পারিত না। স্বামিজীর চোখ ছিল বড়, লম্বা এবং টানা। স্বামিজী ইচ্ছা করিলে চোখের ভিতর হইতে অগ্নিশিখার ন্যায় জ্যোতিঃ বাহির করিতে পারিত। ব্রহ্মানন্দের চোখ ছিল অপেক্ষাকৃত গােল, কিন্তু তত বড় নয় এবং তজ্রপ তীক্ষ্ণ জ্যোতিঃ বাহির করিতে পারিত না। স্বামিজীর নাসিকা ছিল ঈষৎ উন্নত - ‘সিঙ্গি’ নাক; ইচ্ছা করিলে নাসিকা কুঞ্চিত করিয়া উদ্ধদিকে তুলিতে পারিত। ব্রহ্মানন্দের নাসিকা ছিল অপেক্ষাকৃত থেবড়া। স্বামিজীর হাত ছিল সুডৌল, সরু ও লম্বা। ব্রহ্মানন্দের হাত ছিল কিঞ্চিৎ পরিমাণে স্কুল, ততটা সুডৌল নয়, অনেক পরিমাণে থলথলে এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বা আজ্ঞাপ্রদ ব্যক্তির হাতের ন্যায় ছিল না। মস্তকের খুলির বিষয়ও এইরূপ পার্থক্য ছিল। দেখা যায় যে, স্বামিজীর মস্তকের পিছন দিকটা চ্যাপটা ছিল। আহাদের এই স্থানটী উচ্চ বা স্ফীত হয়, তাহাদের হিংসা ও দ্বেষ ভাব প্রবল হয় এবং যাহাদের পিছন দিকটা চ্যাপটা, তাহাদের ভিতর প্রতিহিংসার ভাব অল্প হয় বা মােটেই