পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

= অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১০৭ থাকে না। স্বামিজীর মস্তকের সম্মুখ দিকটা এবং মস্তকের মাঝখানটা বা ব্রহ্মতালু উচ্চ ছিল। ইহা হইল দার্শনিক ও ধ্যানী পুরুষের লক্ষণ। ব্রহ্মাননের ব্রহ্মতালু উচ্চ ছিল। এইজন্য, সে এত ধ্যানী হইতে পারিয়াছিল। ব্রহ্মানন্দের সম্মুখের অংশটী কিঞ্চিৎ উচ্চ ছিল, তবে স্বামিজীর ন্যায় অধিক পরিমাণে ছিল না। ললাট প্রদেশেরও এইরূপ পার্থক্য ছিল। উভয়ের শারীরিক গঠনের মধ্যে মােটামুটি এই প্রভেদ। শরীরতত্ত্ব (Physiognomy) এবং মনস্তত্ত্ব (Psycho logy) সম্বন্ধে যাহারা কোবিদ, তাঁহারা এই সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নিদর্শন হইতেই উভয়ের মনের ভাব বা জীবনের গতি বেশ বুঝিতে পারিবেন। স্বামিজীর হইল মরিয়া ভাব – অজ্ঞাত স্থান বা অন্ধকারের ভিতর ঝাপাইয়া পড়া, মরণ-বাচনের কোন চিন্তা না করা ; ইংরাজীতে যাহাকে বলে – Dashing spirit বা Plunging in the unknown. ব্রহ্মানন্দের ভাব হইল সবদিকে সামঞ্জস্য রাখিয়া ধীরে ধীরে চলা, কোন কিছু না ফেলিয়া যাওয়া। পদবিক্ষেপ গতি দ্রুত নয় - ধীর। স্বামিজীর হাত, পা ও আঙুল দেখিলে মনে এই ভাব আসিবে, যেন সে বিজয়ী সৈন্যদিগকে আজ্ঞা দিতেছে - “নির্ভীক হইয়া অগ্রসর হও, শত্রু ধ্বংস কর, না হয় মৃত্যুকে বরণ কর। ফিরিয়া চাহিও না, ভয় করিও না - মরণ-বাচন অতি তুচ্ছ কথা, বিজয় একমাত্র আকাক্ষিত বস্তু।” ব্রহ্মানন্দের E