পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ভাব – “ধীরে ধীরে পদবিক্ষেপ করিয়া অগ্রসর হও, যাহাতে পরাজয় না হয় ; যে কোন প্রকারে হউক অগ্রসর হও, শত্রু-দুর্গ অবরােধ কর - রসদ বন্ধ করিয়া বিনা রক্তপাতে শত্রু-দুর্গ জয় কর।” একজন হইল সৈন্যদলের অগ্রগামী নায়ক, আর একজন হইল পৃষ্ঠ-রক্ষক — তবু, রসদ ইত্যাদি লইয়া ধীরে ধীরে পশ্চাতে চলিতেছে, একটুও জিনিষ ফেলিয়া যাওয়া বা একটুও জিনিষ নষ্ট করা উচিত বােধ করিতেছে না। দুইজনের বাল্যকাল এইভাবে দেখিয়াছি। দেখিয়াছি, শেষ পর্যন্তও এই সম্বন্ধ দুইজনের মধ্যে ছিল। স্বামিজীর ন্যায় অগ্রগামী সেনানায়ক ও আজ্ঞাদাত না হইলে কাজ চলিত

আবার ব্রহ্মানন্দের ন্যায় সুযােগ্য ও বিশ্বস্ত আজ্ঞাবাহী পৃষ্ঠ-রক্ষক না হইলেও কাজ হইত না।

স্বামিজীর পিতা ও খুল্লতাত উকিল ছিলেন। এইজন্য, স্বামিজীর ভিতর ওকালতির ভাবটা সর্ববিষয়ে সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হইত ; স্বামিজী এক পক্ষকে সমর্থন করিয়া তাহার উৎকর্ষ দেখাইতে পারিত। ব্রহ্মানন্দ পুরাতন জমিদার বংশের ছেলে হওয়ায়, তাহার ভিতর জমিদারী ভাবটা প্রবল ছিল। স্বামিজীকে কোন প্রশ্ন করিলে উপস্থিত মত তাহার উত্তর দিতে পারিত এবং নানাপ্রকার উদাহরণ দিয়া প্রশ্নের সমাধান করিত। স্বামিজী কথাবার্তায় প্রগলভ ছিল। ব্রহ্মানন্দ ছিল অল্পভাষী, ধীরে ধীরে কথা কহিত এবং কোন জটিল প্রশ্ন করিলে তিন চারি দিন বিবেচনা করিয়া সমাধান করিত। এইজন্য, ব্রহ্মানন্দ