পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১১১ চরিত্র বিশ্লেষণ করিবার ক্ষমতা।

ব্রহ্মানন্দের মনুষ্য-চরিত্র বিশ্লেষণ করিবার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল। এক একদিন কৌতুকচ্ছলে সে অপরের মনােবৃত্তি বিশ্লেষণ করিয়া, দোষগুণ যাহা থাকিত, তাহা ঠিক ঠিক বলিয়া দিত; কিন্তু বলিত যে, এই সকল কথা লােকের কাছে বলিতে নাই, ইহাতে সে ব্যক্তি মনঃক্ষুণ্ণ হইতে পারে। যদি তেমন লেখাপড়া জানা থাকিত, তাহা হইলে ব্রহ্মানন্দ বিভিন্ন মনুষ্য-চরিত্র সকল বিশেষরূপে অঙ্কিত করিতে পারিত। নিজেকে পরিবর্তন করিবার ক্ষমতা যেরূপ ব্যক্তি নিকটে আসুক না কেন, ব্রহ্মানন্দ তাহার উপযােগী ভাব ধারণ করিতে পারিত; সে নিজেকে সৌসাদৃশ্যভাবে পরিবর্তন করিয়া কথাবার্তা কহিতে পারিত। ইহাকে বলে স্নায়ুপুঞ্জ সংযত করা – Controlment of nerves. আর একটী নিয়ম হইল - সমরূপ স্পন্দন সমরূপ স্পন্দনকে প্রণােদিত করে—Similar vibration catches similar vibration. প্রত্যেক লােক বুঝিত যে, ব্রহ্মানন্দ তাহারই উপযােগী ব্যক্তি। এই ক্ষমতাটী তাহার প্রবলরূপে প্রকাশ পাইয়াছিল। সকলকে সে সমভাবে দেখিত ও সমান যত্ন করিত। কেহই তাহার নিকট হইতে অসন্তুষ্ট হইয়া ফিরিয়া যাইত না। প্রত্যেক লােকের জন্যই সে চিন্তা করিত এবং