পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১২৭ নির্বিকল্প সমাধিতে প্রথম যে সকল সত্য উদ্ভাসিত হয়, তাহা চিত্রের ন্যায় সম্মুখে আসিয়া থাকে - The first impression of truth comes in the form of pictures. ইহাই হইল ‘স্পন্দনবাদের নিয়ম। চিৎশক্তি যখন সূক্ষ্ম-স্নায়ু দিয়া প্রবাহিত হয় এবং একধারা অনুযায়ী গমন করে, অর্থাৎ সূক্ষ্ম ও অতি সূক্ষ্ম স্নায়ু সকল জাগ্রত হইয়া সক্রিয় হয়, তখন প্রধাবিত শক্তি চিৎ-আকাশ হইতে চিত্ত-আকাশে প্রতিবিম্বিত হইয়া রূপ ধারণ করে। এই সকল চিত্রের বা রূপের বর্ণ, দৈর্ঘ্য এবং অবয়ব ইত্যাদি পরিদৃষ্ট হয়। প্রত্যেক ভাব যখন পরিদৃষ্ট হয়, তখন তাহার অবয়ব, বর্ণ এবং পরিধি সমস্তই থাকে - Every idea, when visualised, has its form, colour and dimensions. কবি বলিয়াছেন - “আছে কিবা সঙ্গীতের রূপ ?” অতি প্রাচীনকাল হইতেই সঙ্গীতে রাগরাগিণীর রূপ বর্ণিত হইয়াছে ; কারণ, রাগরাগিণী স্পন্দন হইতে উদ্ভূত এবং ইহা বেদাঙ্গ। এই স্পন্দন, কণ্ঠ দিয়া প্রসারিত হইলে, তাহাকে রাগরাগিণী বলা হয়। আবার এই স্পন্দন যখন চক্ষু দিয়া পরিদৃষ্ট হয়, তাহাকে ‘চিত্র-বিজ্ঞান এবং দর্শনশাস্ত্র বলা হয়। এইরূপ, যাহার যে অঙ্গ বা স্নায়ু প্রবল, এই অধ্যাস বা Super-imposition তাহার সেই অঙ্গ বা স্নায়ু দিয়া প্রথম প্রকাশ পায়। কেহ বা কর্ণ দিয়া