পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ১২৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান অশরীরী বাণী – Voice without form - শুনিতে পায়। এই অধ্যাসকেই ভক্তির ভাষায়, সাধারণতঃ, ‘ইষ্ট দর্শন, ‘ভাব দর্শন’ বা Visualisation of the idea – বলা হয়। এইজন্য, যাহাদিগের ভিতর কেবলমাত্র ভক্তির ভাব আছে, তাহার এই অবস্থায় চিৎশক্তিকে প্রসারিত করিলেই ভক্তিতে আপ্লুত হইয়া থাকেন, ইষ্টের নানা স্তব-স্তুতি করিয়া থাকেন; কিন্তু দার্শনিক ও ধ্যানী ব্যক্তি অন্যবিধ ভাব গ্রহণ করেন। এই যে অবয়বাদি বা গুণসমষ্টি — তাহারা এই সকলে আবদ্ধ হইতে বা সমাপ্তি করিতে চাহেন না। গুণ অর্থে - যাহার অবস্থার হ্রাস-বৃদ্ধি আছে, যাহা পরিবর্তনশীল - তাহাই বুঝায়। দার্শনিক ও ধ্যানী ব্যক্তি এই পরিবর্তনশীল গুণসমূহকে একে একে পরিত্যাগ বা বিলুপ্ত করিবার চেষ্টা করিয়া ‘অস্তিতে যাইবার প্রয়াস পাইয়া থাকেন, অর্থাৎ চিৎশক্তিকে কারণ হইতে মহাকারণ শরীরে প্রবাহিত করিবার চেষ্টা করিয়া থাকেন। চলিত কথায়, সুষুম্নার অভ্যন্তরস্থিত স্নায়ু, দিয়া শক্তি সঞ্চালিত করিবার চেষ্টা করেন। শক্তি অতি সূক্ষম-স্নায়ু, দিয়া প্রবাহিত হইলে বহির্দেশে তাহার প্রকাশ বা প্রতিবিম্ব হইয়া থাকে। এইজন্য যােগীরা বলিয়া থাকেন যে, এই অবস্থায় কেবলমাত্র একটী জ্যোতির্ময় রেখা পরিদৃষ্ট হয়, অর্থাৎ সুষুম্নর অভ্যন্তরস্থিত শক্তি সম্মুখে প্রতিবিম্বিত হয়। ইহাকে ‘অনাদি লিঙ্গ’ বা ‘জ্যোতির্ময় লিঙ্গ বলে। এইরূপ অধ্যাস হইল উচ্চমার্গের যােগীর লক্ষণ। এই অধ্যাস সম্বন্ধে