পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৩১ একেবারেই বিলুপ্ত হয় না, যেন সঞ্চয়াগারে গিয়া অবস্থান করে। এইরূপ, এই সকল চিত্র বা প্রতিঘাত বহুকাল পর্যন্ত সঞ্চয়াগারে সুষুপ্ত অবস্থায় অবস্থান করে। সাধারণ লােকে ইহাকে ‘বিস্মৃতি’ বা ‘অজ্ঞানতা বলিয়া থাকে; কিন্তু কোনও উপযুক্ত আভ্যন্তরিক বা বাহ্যিক উদ্বোধক বা উত্তেজক ভাব প্রয়ােগ করিলে, স্নায়ুপুঞ্জ যদি বিনষ্ট না হইয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে এই মুষুপ্ত-ক্ষেত্র হইতে, সমস্ত চিত্র বা প্রক্রিয়া, বহুবৎসর পরেও পুনরায় জাগ্রত ও সজীব করা যাইতে পারে ; অর্থাৎ, সুষুপ্ত-ক্ষেত্র হইতে বর্তমান ক্ষেত্র বা পরিদৃশ্যমান জ্ঞান-ক্ষেত্রে, সেই সকল চিন্তাধারা আনয়ন করা যাইতে পারে। পাঁচ দিনের পুরানাে কথা আর পঞ্চাশ বৎসরের পুরাতন বিষয় একইরূপ হইয়া যায়। ইহাকে সাধারণে ‘স্মৃতি’ বলিয়া থাকে। পাশ্চাত্য দর্শনশাস্ত্র ‘স্মৃতি’ বা ‘Memory' সম্বন্ধে বিশেষ করিয়া ব্যাখ্যা করিতে পারে নাই এবং নানাপ্রকার বাক্যবিন্যাস করিয়া এ বিষয় একটী অসম্বদ্ধ ভাব প্রকাশ করিয়াছে ; কিন্তু রাজবােগ বা স্নায়ু-বিজ্ঞান দিয়া অনুধাবন করিলে, ইহার বিশেষরূপ ব্যাখ্যা করা যায়। ‘পূর্ববস্মৃতি লােপ’ ‘পূর্ব্বস্মৃতি জাগ্রত করা, ইত্যাদি সমস্তই স্নায়ুসমূহের বিশেষ প্রক্রিয়া। স্নায়ুপুঞ্জ সর্বদাই পরস্পরের সংলগ্ন হইয়া একীভূত হইয়া থাকে, কোন বিষয়ে স্নায়ু-বিশেষের প্রাধান্য থাকে না; কিন্তু যখন জপ বা ধ্যান অভ্যাস করিয়া একটী স্নায়ুকে সজীব করা যায়, তখন চিৎশক্তি