পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৩৭ অদ্ভুত পরিবর্তন হইয়াছিল, তাহা স্পষ্টই বুঝা যায়। এ সকল দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক সত্য। যাহাদের ইচ্ছা হয়, তাহারা নিজে ইহা করিয়া দেখিতে পারেন। এস্থলে ইহা বিশেষ করিয়া জ্ঞাতব্য - স্নায়ুর বহুবিধ প্রক্রিয়া ও পরিবর্তনের বিষয় বুঝিতে হইলে, শ্রীরামকৃষ্ণের শরীরে স্নায়ুর প্রক্রিয়া, ভাব ও বিকল্প কিরূপ হইয়াছিল, তাহা বিশেষ করিয়া অনুধাবন করা আবশ্যক; কারণ, এই মহাপুরুষ হইতে ভবিষ্যতে স্নায়ু-বিজ্ঞান ও দার্শনিক-জ্ঞান বহুরূপে পরিবর্তিত হইবে। ভক্তির কথা দূরে থাকুক, বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিকগণ তাহার স্নায়ুর প্রক্রিয়া অনুধাবন করিয়া, ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও দর্শনশাস্ত্রের চিন্তাস্রোত পরিবর্তন করিবেন। সদা প্রগতিশীল এই বৈজ্ঞানিক যুগে এইরূপ বিজ্ঞান ও দর্শনের প্রতিমূর্তি আর দেখা যায় না। জগতের তিনি আদর্শ পুরুষ হইয়া, বিজ্ঞান ও দর্শনের সত্যসমূহ নিজ জীবনে প্রতিফলিত করিয়া দেখাইয়া গিয়াছেন। মনকে দ্বিধা বিভক্ত করিবার ক্ষমতা ব্রহ্মানন্দ মনকে দুই ভাগে বিভক্ত করিতে পারিত। ইংরাজীতে ইহাকে ‘Bifurcation of mind' বলা হয়। উচ্চমার্গের সাধকেরাই এইরূপ মনকে দ্বিধা বিভক্ত করিতে পারেন। তাপস রাখাল - ব্রহ্মানন্দ অনেক কাল জপ করিয়া এই শক্তি বিশেষভাবে লাভ করিয়াছিল ; কারণ, জপই হইল