পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪২ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান | লণ্ডনে বক্তৃতাকালে স্বামী বিবেকানন্দের ভিতর, সারদানন্দ ও আমি প্রত্যক্ষভাবে এই সকল লক্ষণ দেখিয়াছিলাম এবং উপস্থিত ব্যক্তিবর্গও এই সকল লক্ষণ প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন। এই সকল লক্ষণ আমি ব্রহ্মানন্দের মধ্যে দেখিয়াছিলাম। এইজন্য, ব্রহ্মানন্দকে উচ্চ অবস্থার লােক বলিয়া দৃঢ়ভাবে বলিতেছি। জ্যোতির্ময়-তনু ব্রহ্মানন্দ অব্যক্ত বা অজ্ঞাত শক্তি মানুষের চিন্তার অতীত। সেই শক্তি যখন খণ্ডভাবে অর্থাৎ বিশিষ্টভাবে প্রধাবিত হয়, তখন তাহাকে ‘চঞ্চলা শক্তি’ বলে। শক্তিকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায় - ‘অব্যক্ত, ‘স্থিরা এবং ‘চঞ্চলা। ইহা আমরা পরিকল্পনা করিতেছি মাত্র ; কারণ, মনুষ্যচিত্তে এই তিন অবস্থা হয়। নিম্নস্তর হইতে, অর্থাৎ সৃষ্টি হইতে বা খণ্ডস্তর হইতে, উচ্চস্তর বা অখণ্ডে যাইতে হইলে এই কয়েকটী সোপান পরিলক্ষিত হয়। শক্তি যখন সক্রিয় বা চাঞ্চল্যভাবে থাকে, তখন ইহার প্রধাবিত অবস্থা হইতে স্পন্দন উদ্ভূত হয়। এই স্পন্দন হইতে গুণ উদ্ভূত হয় এবং গুণ দুইয়ের অধিক বিন্দুতে বা ক্ষেত্রে সমাহিত হইলেই রূপ বা অবয়ব সৃষ্ট হয় – ইহাকে অবয়ব বা রূপের অবস্থা বলা হয়। অণু অর্থাৎ এক পরিধি, ইহা আমাদের চিন্তার অতীত। দ্বিতীয় অবস্থা হইল -