পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৪ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান প্রত্যেক পরমাণু যেন নিজ নিজ কেন্দ্রে অনবরত স্পত হইতেছে, বুঝা যায়। এই হইল দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক মতে দেহের বিশ্লেষণ। “বাসনায় জগৎ-সৃজন, কর জীব বাসনা-বর্জন, নিত্যধন পাবে অনায়াসে, বাসনায় মনের জনম, মন সৃষ্টি করে এ শরীর, অনন্ত বাসনা উঠে তার, ভাসে মন বাসনা সাগরে; -গিরিশচন্দ্র। শক্তিধারা যেরূপ স্কুল-স্নায়ু দিয়া প্রবাহিত হয়, চিন্তাও তপ হয়। শক্তিধারা নিরবচ্ছিন্নভাবে স্কুল-স্নায়ু দিয়া প্রবাহিত হইলে, নিম্নশ্রেণীর চিন্তা হয় – সাংসারিক চিন্তা, দ্বন্দ্বপূর্ণ চিন্তা ইত্যাদি। ইহার পরিধি অল্পদূরব্যাপী, বর্ণ – মলিন এবং ইহা অতি শীঘ্রই প্রসূত-কেন্দ্রে প্রত্যাবর্তন করে। এইরূপ চিন্তা বা স্পন্দন সংহারমূলক বা Destructive, ইহার ভিতর তিনটী ভাব বিশেষ করিয়া পরিলক্ষিত হয়। আত্মরক্ষা - Self-preservation, আত্ম-অধিকার – Self-possession ও আত্ম-বৃদ্ধি - Self-procreation. এইরূপ স্কুল অবস্থায় উচ্চতর আর কোন চিন্তা আসে না; কিন্তু মন বা চিন্তাশক্তি যখন সূক্ষ্ম-স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়, তখন স্পন্দন বা